মির্জাপুর-উয়ার্শী-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের রোয়াইল ব্রিজের সংযোগ সড়ক বন্যার পানির স্রোতে ধসে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ফাটল ধরার পর বিকেলে সড়কটি ধসে পড়ে। এতে উপজেলা সদরের সাথে বিকল্প পথে মির্জাপুর-ধামরাইের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও সদরে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে স্থানীয় এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের প্রচেষ্টায় সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এর ফলে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়। যানজট প্রবণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবেও এই সড়কটি ব্যবহৃত হতে থাকে।
সড়কটি উদ্বোধনের নয় মাসের মাথায় নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ২০ মার্চ সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠিত একটি তদন্ত দল। সেই সময় ওই সংসদীয় তদন্ত কমিটি অনিয়মের সত্যতা পান। এ বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় মির্জাপুরের এই সড়কটিসহ সব আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে যায়। পানির প্রবল স্রোতে সড়কের পুষ্টকামুরী, রাজনগর, ঘুগি, রোয়াইল অংশসহ বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরে। বন্যার পানি কমার ফলে সড়কে ভাঙনের ক্ষত চিহ্ন দেখা দেয়। দুর্ভোগ বাড়তে থাকে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের। সড়ক পথে চলতে গিয়ে মানুষ এখন বিকল্প হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে। এতে সময় লাগছে বেশি এবং লাগছে বাড়তি টাকাও। বৃহস্পতিবার সকালে সড়কটির রোয়াইল বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজের সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দেয় বলে এলাকাবাসী জানায়। পরে দিনের মধ্যে সংযোগ সড়কটি ধসে পানিতে মিশে যায়। ব্রিজের নীচ দিয়ে প্রবাহিত পানির প্রবল স্রোতে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ওই ব্রিজটি।
রোয়াইল গ্রামের মিনুর হোসেন বলেন, সকালে ব্রিজের দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দেয় দিনের শেষে বিকেলে সড়কটি ধসে পড়ে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আশীষ, রুবেল, মজিবর, সনজিত, মুক্তার, সবির বলেন রাস্তাটি ভাঙনের ফলে চলাচলে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমাদের আয়ের পথ এখন বন্ধই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. এনামুল কবির বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সড়কটি পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন