যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পৈশাচিক নির্যাতনে হত্যাকান্ডে রিমান্ডে নেওয়া পাঁচ কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক সৈয়দ মোঃ নূরুল বাসির ও উপ পরিচালক এস এম মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি যশোর এসে কেন্দ্রে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন।
পুলিশ জানায়, কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি কারিগরী প্রশিক্ষক ওমর ফারুক, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনা পরিস্কার হয়েছে যে, কেন্দ্রের অভ্যন্তরে দফায় দফায় পিটিয়ে তিনজনকে হত্যা ও ১৫জনকে আহত করা হয়। তাছাড়া যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম ঘটনার শুরু থেকে শেষপর্যন্ত বিস্তারিত প্রেসব্রিফিংএ তুলে ধরেন। সবমিলিয়ে দিবালোকের মতোই পরিস্কার চার দেয়ালের মাঝে পিটিয়েই বন্দি ৩ কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, বন্দি কিশোরদের অনেক অভিভাবক সাংবাদিকদের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের ভেতরে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। ঈদের দিন ভোনা খিচুড়ি ও গোশত দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের দেওয়া হয়েছে হলুদে রং করা ভাত কোন ডাল ছিল নামকাওয়াস্তে। আর গোশত ছিলোই না।হত্যাকান্ডের শিকার রাব্বির মা পারনিা বেগমের কথা, ছেলে আমার মোবাইল করে বলেছিল মা এখান থেকে নিয়েও যাও। ওরা নির্যাতন করে ঠিকমতো খেতে দেয় না।কষ্ট দেয়। আমি পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন