শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

করোনায় নতুন করে বেকার ১৭ শতাংশ মানুষ

পিপিআরসি-বিআইজিডি’র জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকা ছেড়ে গেছেন ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ। এছাড়া এই সময়ে ১৭ শতাংশ মানুষ বেকার হয়েছেন এবং ৭ শতাংশ মানুষ পেশা পরিবর্তন করেছেন। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল দুই প্রতিষ্ঠানের এক যৌথ অনলাইন প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন জরিপের ফল তুলে ধরেন। তিনি জানান, সারাদেশে ৭ হাজার ৬৩৮ জনের ওপর একটি জরিপ করে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেও যাদের কাজ ছিল, তারা এপ্রিল-মে-জুন মাসে গিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। সবচেয়ে বেশি বেকার হয়েছেন নারী, অদক্ষ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর গৃহকর্মী নারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বেকার হয়েছেন।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, করোনা মহামারির সময়ে রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক মানুষ অন্য জেলায় চলে গেছেন। এই চলে যাওয়ার হার ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, জুনে এসে অতি দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেও যারা প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করতেন, জুনে তাদের আয় ৩৪ টাকা কমে গিয়ে ৬৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে অতি দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। তিন বেলা খাবার জোটানোই এখন তাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জরিপে আরও বলা হয়, করোনার শুরুতে গত এপ্রিল মাসে দেশে দারিদ্রের হার ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ হলেও জুন মাসে এসে তা দাঁড়িযেছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশে। জুন মাসে লকডাউন কিছুটা শিথিল থাকায় এপ্রিলের তুলনায় দারিদ্র এক শতাংশ কমেছে। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার আগে সরকারি হিসাবে দারিদ্রের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ।

জরিপে আরও বলা হয়, জুনে এসে দরিদ্রদের আয় কমেছে ৪১ শতাংশ। করোনার কারণে নতুন করে যারা দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের আয় জুনে এসে কমেছে ৪২ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি আয় কমেছে রিকশাচালকদের। তাদের প্রায় ৫৪ শতাংশের আয় কমেছে। এরপরই রয়েছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী, পরিবহন ও অদক্ষ শ্রমিকরা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম আয় কমেছে কারখানা শ্রমিকদের। এদের মধ্যে ১৬ শতাংশের কিছু বেশি কারখানা শ্রমিকের আয় কমেছে।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ এখনো বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে বের হচ্ছেন। এর কোনো বিকল্প নেই। কেননা করোনা মহামারিতে সরকারি সহায়তা খুবই অপ্রতুল।

তিনি বলেন, সরকারি হিসাবে করোনার আগে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। করোনার কারণে গত জুনে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ। এই সময়ে সরকারি সাহায্যের কথা বলা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ সময় নগদ সহায়তা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ সরকারি সহায়তা পেয়েছে। এই ১৫ শতাংশ সবাই আবার সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছিল না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন