শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুন

সউদী আরবকে জ্যারেড কুশনার

রয়টার্স | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জামাতা, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা জারেড কুশনার সোমবার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্মত হয়েছে, তাই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় সউদী আরব উপকৃত হবে। কুশনার টেলিফোন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটি এ অঞ্চলে তাদের সাধারণ শত্রু ইরানের প্রভাবকে দুর্বল করবে এবং শেষ অবধি ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করবে।

কুশনার বলেন, ‘এটি সউদীর ব্যবসা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে খুব ভাল হবে এবং সত্যিই আমি মনে করি, এটি ফিলিস্তিনি জনগণকেও সহায়তা করবে’। আরব বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি সউদী আরব সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরাইল চুক্তির ঘোষণায় নীরব ছিল। কুশনার বলেন, সউদী বাদশাহ সালমান এবং তার ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বারবার অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আগ্রহ প্রকাশ করে এসেছেন। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার স্থপতি কুশনার বলেন, ‘তাঁরা মূলত ফিলিস্তিনের জনগণের একটি রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক সুযোগ রয়েছে তা দেখতে চান, তবে ফিলিস্তিনিরা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিল’।

সউদী আরব এবং ইসরাইলের একটি অভিন্ন শত্রু রয়েছে ইরান, যার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ এ অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। কুশনার বলেন, ‘ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টিতে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক দেশের স্বার্থ রয়েছে’। অনেক জিসিসি দেশ সাফল্য অর্জন করতে চায়। ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ যত বেশি একত্রিত হবে, ইরানের পক্ষে বিভাজন ও বিজয় অর্জন করা তত বেশি কঠিন হবে’। কুশনার বলেন, ‘আপনি যদি এমন মানুষের কথা চিন্তা করেন যারা চায় না যে, সউদী আরব এবং ইসরাইল একটি শান্তি চুক্তি হোক, তবে এক নম্বর প্রতিপক্ষ হতে চলেছে ইরান।

গত সপ্তাহে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছিলেন যে, ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তটি একটি ‘বড় ভুল’ এবং ‘এ অঞ্চলে ইসরাইলের পথ উন্মুক্ত করার বিরুদ্ধে’ তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। সোমবার, মধ্যপ্রাচ্যে ইউএস নেভাল ফোর্সের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল জিম মলয় বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইল সা¤প্রতিক চুক্তি ‘উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে’ বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। মেলোয় টেলিফোন ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চল যেখানে অংশীদারদের একত্রে নিবিড়ভাবে কাজ করা দরকার।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে অবস্থান বদলানো হয়নি : ইসরাইল
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিক্রিতে ইসরাইল তার বিরোধিতার অবস্থান পরিবর্তন করেনি যা তার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব হ্রাস করতে পারে। ইসরাইলের ইয়েদিথ অ্যারনোথ পত্রিকায় ইসরাইলের এক প্রতিবেদনের পরে এ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গত সপ্তাহে উপসাগরীয় দেশটির পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে উন্নত এফ-৩৫ বিমানের ‘বিশালকায়’ বিক্রয় পরিকল্পনা করেছিল।

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। কয়েক দশক ধরে সমঝোতার ভিত্তিতে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রি থেকে বিরত রয়েছে যা ইসরাইলের ‘গুণগত সামরিক প্রান্ত’ (কিউএমই) কে মুছে দিতে পারে। এটি এফ-৩৫-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যা আরব রাষ্ট্রগুলোকে বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানায়, আর ইসরাইল এটি কিনে নিযুক্ত করেছিল।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘(সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে) আলোচনায় ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশকে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিক্রয় করার বিরুদ্ধে তার সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান পরিবর্তন করেনি যা [সামরিক] ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে’।

ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বৃহস্পতিবার স্বাভাবিকীকরণ ঘোষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনির্দিষ্ট নতুন নতুন অস্ত্র বিক্রয় করতে পারে। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক গোয়েন্দামন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফোরাম কিউএমই নীতিমালায় কোনও পরিবর্তন নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি এবং ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের কোনও পরিবর্তনে রাজি হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন