সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : এলাকায় খাবার পানি নেই। লবণাক্ততায় জনজীবন বিপর্যস্ত। তার মধ্যে প্রতিনিয়ত নদীর বাঁধ ভেঙে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ ঘর-বাড়ি সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বললেও কোন কাজ হয় না। বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসে না। বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আর কোন দরকার আছে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে এলাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হোক। কিন্তু পাউবোর আর দরকার নেই বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ বক্তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনসহ কৌশলী পরিবেশগত মূল্যায়ন বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা এভাবেই পাউবোর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট বিরাজ করছে। নদী ও পানি নিষ্কাশনের খালগুলোতে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। এতে একদিকে যেমন বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে, তেমনি জোয়ার উঠলে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদী ভাঙনে সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাÐ মøান হয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার করে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবি জানিয়ে বলেন, পাউবো দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে আর কোন কাজ প্রত্যাশা করা যায় না।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুষমা সুলতানার সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত গবেষণা কর্মের তথ্যচিত্রের অংশ বিশেষ মাল্টিমিডিয়ায় উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ রায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জ্ঞানরঞ্জন সেন। আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চলমান গবেষণার প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হাসান আল সাফী, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন প্রমুখ।
সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন