শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাঁচামরিচে কুপোকাত

রাজধানীর কাঁচাবাজার, শাকেও অস্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

কাঁচমরিচের দাম যেন কমছেই না। বরং নতুন করে দাম আরো বেড়েছে। এমনিতেই দুই মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বর্তমানে এক কেজি মরিচের দাম পড়ছে মান ভেদে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। শুধু মরিচই না, সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। একমাত্র কচু ছাড়া কোনো সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বাজারে কোনো শাকের আঁটিও এখন ২০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, ভালো মানের কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অধাকেজি নিলে এসব মরিচের দাম রাখা হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আর এক কেজি নিলে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে।
মরিচের এমন চড়া দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্যা আর বৃষ্টিতে সব শেষ। এরপরও কিছু কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে এই ভালো। বাজারে কাঁচামরিচের যে সরবরাহ তাতে কেজি ৩০০ টাকা হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
তাদের দাবি এক সপ্তাহ আগেও এ ধরনের কাঁচামরিচের পোয়া ৩০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ যে দামে কেনা পড়েছে তাতে ৬০ টাকা পোয়া বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি যা সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।
এদিকে বিভিন্ন বাজারে, লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাকের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর লাল শাক, সবুজ শাক ও কলমি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। আগের মতোই বাজার ও মান ভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। গাজরের কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। করলা (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। তবে বড় করলা ৭০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা। পাশাপাশি চিচিংগা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়োর জালির পিস ৪০-৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০-৪৫ টাকা এবং কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও ডিম। এক কেজি আলুর জন্য ৩৫-৩৭ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এ সপ্তাহের সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে বন্যা ও পানিতে সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক দিন ধরেই সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে সবজি বাজারে আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
মাছ বাজার দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। আর আধা কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার জালে প্রচুর বড় ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দাম কিছুটা কম। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজির ইলিশ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও কিছুদিন এমন দামে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা। তবে এর থেকে কম দামে পাওয়া যাবে না। বরং হুট করে জালে মাছ পড়ার পরিমাণ কমে গেলে, দাম বেড়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন