খুলনায় কাঁচামরিচের দাম অবিশ্বাস্য রকমের কমে গেছে। ৩ মাস আগেও স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম নেমে এসেছে।
এদিকে, সাধারণ ক্রেতারা কমদামে কাঁচামরিচ কিনতে পেরে বেজায় খুশি, অন্যদিকে কম দাম পাওয়ায় লোকসানে রয়েছেন মরিচ চাষীরা।
আজ শনিবার দুপুরে খুলনার চিত্রালী, বৈকালী, দৌলতপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরণের কাঁচামরিচ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহও রয়েছে প্রচুর। চিত্রালী বাজারের তরকারী বিক্রেতা গোলাম রসুল জানান, ডুমুরিয়া, রূপসা, তেরখাদা, বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে প্রচুর মরিচ আসছে। মরিচের মানও খুব ভাল। ভাল মানের মরিচ ২০ টাকা, অপেক্ষাকৃত কম ঝালের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজিতে। দৌলতপুর পাইকারী বাজারের বিক্রেতা ইমরান জানান, আমরা ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে কিনছি। খুচরা ব্যবসায়ীরা তা ১২ থেকে ১৩ টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। খুলনার চাহিদা মিটিয়ে কাঁচামরিচ রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
ডুমুরিয়ার শরাফপুর ইউনিয়নের মরিচ চাষী আল মামুন জানান, ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় মরিচের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। কিন্তু দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, ব্যাপারীরা প্রতি মন মরিচ মাঠ থেকে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩৭০ টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলনের প্রথম দিকে চাষিদের লাভ হলেও এখন সবাই লোকসানে রয়েছেন। একই রকম কথা জানিয়েছেন গুটুদিয়া ইউনিয়নের চাষী হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, মাস তিনেক আগে প্রতি মন কাঁচামরিচ মাঠে আমরা ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করেছি কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছে প্রতি মন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। মরিচের উৎপাদন খরচ এখন উঠছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন