আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি । পৌর শহরের কুমারখালী থেকে শুরু করে কাইনমারী পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নির্মাণ করে মংলা পোর্ট পৌরসভা। মেরিন ড্রাইভ সড়কটি পৌর শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে নির্মান করে মংলা পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে পানি বের করার জন্য পৌর শহরের কুমারখালী, ঠাকুরানী ও কাইনমারী খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি স্লুইস গেইট। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও স্লুইস গেইটের ফলে এখন আর আগের মত দিনে রাতে ২ বার পৌর শহর প্লাবিত হচ্ছেনা। তবে গত কয়েকদিন ধরে চলে আসা টানা বৃষ্টিপাত ও লঘুচাপের প্রভাবে পশুর নদী এবং মংলা নদীর পানি আড়াই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির চাপে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এই মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও স্লুইস গেইট তিনটি। নদীর পানি স্লুইস গেইট দিয়ে পৌরসভার অভ্যন্তরের খালে প্রবেশ বন্ধ রাখায় স্লুইস গেইট এলাকায় এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কে পানির চাপ ভয়াবহতা রুপ নিয়েছে। কারণ স্লুইস গেইটের ভিতরের কিছু অংশ নিচু এবং ওই নিচু জায়গায় কোন পানি না থাকা বাহিরের পানির চাপ রয়েছে। তারপরও প্রচন্ড চাপে স্লুইস গেইট ভিতরে প্রবেশ করা পানিতে পৌর শহরের নি¤œাঞ্চল তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কাইনমারী স্লুইস গেইট ও কাইনমারী এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ইতিমধ্যে কাইনমারী স্লুইস গেইট এলাকায় বড় ধরণের ভাঙ্গণ ধরেছে।
শেখ আব্দুল হাই ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন, কুমারখালী এলাকায় রাস্তাটি নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে । আর কয়েকদিন গেলেই রাস্তাটি পুরোপুরি নদী গর্ভে চলে যাবে । প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা থাকে ।
মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলী বলেন, আকস্মিক নদীতে যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কটির বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কতিপয় লোকজন মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ দিয়ে মাটি খনন করে নিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক জায়গার ব্লক নষ্ট করার পাশাপাশি ব্লক সরিয়ে ফেলছে কতিপয় লোক ।এর ফলে যে কোন সময় এই সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এছাড়া স্লুইস গেইট গুলোর উপরও প্রচন্ড চাপ পড়ছে। যখন তখন এটির ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন