স্যার না বলায় পটুয়াখালীর বাউফলের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম । তিনি শনিবার বাউফলে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে আসেন। এ বিষয়ে তথ্য নিতে ওই দিন দুপুরে দৈনিক মানবজমিনের বাউফল প্রতিনিধি তোফাজেল হোসেন জেলা সিভিল সার্জনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন। মানবজমিন প্রতিনিধি এসময় তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে তথ্য জানতে চাইলে সিভিল সার্জন তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, ‘আমি আপনার ভাই হলাম কি ভাবে? আমাকে স্যার বলেন। ডিসি-এসপিকেতো ঠিকই স্যার বলেন, আমাকেও স্যার বলেন। আপনাকে তথ্য দিতে আমি বাধ্য নই। তথ্য দিব সরকারকে।’ এ বলে ফোন কেটে দেন। এর কিছুপর সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম মানবজমিন প্রতিনিধিকে ফোন ব্যাক করে বলেন,‘ আকে স্যার বলেননি, আমি আপনার বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবে সভাপতির কাছে অভিযোগ দিব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন দুপুর সারে ১২ টার দিকে তার সরকারী গাড়ি নিয়ে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহার সৌজনে তার অফিস কক্ষে দুপুরে ভুড়িভোজ করেন। ম্যানু ছিল কাচ্চি বিরিয়ানি এবং পটুয়াখালী থেকে আনা দধি ও মিস্টি। এরপর সাড়ে তিনটার দিকে তিনি শহরের নিবন্ধনহীন হেল কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিদর্শন করেন এবং ওই দিন বিকালে পটুয়াখালী চলে যান। এর আগে ১২ আগস্ট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে বাউফলে আসেন এবং ওই দিনও স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তার সৌজন্যে তিনি দুপুরে ভুড়িভোজ করেন। ওই দিনে তার খাবার মেন্যু ছিল, মুরগির মাংস, ইলিশ ও গলদা চিংড়িসহ হরেক রকম মাছ ও দধি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন