গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পাট-২ থেকে পালিয়ে যাওয়া যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩৪) এর খোঁজ ১৭ দিনেও মেলেনি। কারাগার সূত্র জানায়, এর আগেও না কি সে রাজশাহী কারাগারে থাকাকালীন সময় পালিয়ে গিয়ে কারাগারের সেপটি ট্যাংকে লুকিয়ে ছিল। পালিয়ে যাওয়া এই কয়েদি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর এলাকার তেছের আলী গাইনের ছেলে। তার কয়েদি নং- ৭৯৩৪/এ। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের হত্যা মামলায় আবু বক্কর সিদ্দিককে মৃত্যুদন্ড দেন আদালত। এক পর্যায়ে তাকে ২০১১ সালের ১৫ জুন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়। পরে হাইকোর্টের আদেশে জেল আপিলে প্রদত্ত দন্ডাদেশ সংশোধন হয়ে মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সশ্রম কারান্ডে প্রদান করেন আদালত। গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তালাবদ্ধের সময় কারাগারে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
কারা কর্তৃপক্ষের ধারণা ওই দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে সে কারাগার থেকে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। কয়েদি আবু বক্কর ছিদ্দিককে ওই কারাগারে ব্রহ্মপুত্র বিল্ডিংয়ের ২নং কক্ষে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় ৭ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৫ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। গত ৮ আগস্ট সকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কারাগারে এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন। পরে তদন্ত কমিটিতে আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে ৫ সদস্যের এ কমিটি করা হয়। এঘটনায় গত ৭ আগস্ট কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মুহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। পলাতক কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিকের খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে যায় কারা কর্মকর্তারা। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার পর্যন্ত কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বক্কর ছিদ্দিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন