মহামারি করোনা দুর্যোগ ও নগরে নিম্ন আয়ের মানুষদের একদিকে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে টাকার অভাবে অনেকে বাড়ি ছাড়া হচ্ছেন। গতকাল খাদ্য সংকট শীর্ষক এক অনলাইন নাগরিক সংলাপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ) এবং বারসিকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে আলোচনা করেন কাপ-এর নির্বাহী পরিচালনক রেবেকা সান ইয়াত, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ প্রমূখ।
আবু নাসের খান বলেন, করোনায় এদেশে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত এই তিন শ্রেণিকেই সংকটে ফেলেছে। সবার আগে দরকার সরকারের একটা ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করানো যার মাধ্যমে এই মানুষদের পাশে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। সরকারের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলেও কিছু অসাধু গোষ্ঠীর কারণে মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের উচিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
সংলাপে বস্তিবাসী নেত্রী রাফেজা বলেন, করোনাকালে ঢাকার বস্তিবাসীরা সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে। লকডাউনের শুরুতেই তাদের কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি একবারের জন্য ভাবেনি কেউ। বস্তিবাসীদের কাজ নেই, নিরাপত্তা নেই, খাদ্য নেই। কিন্তু তাদেরও পেট আছে, ক্ষুধা আছে। তাদের প্রতি সরকারের সদয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বস্তিবাসীদের বাড়ি ভাড়া না থাকলে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পেটে যাদের খাবার নাই তাদের খোঁজ কেউ নেয়নি। গ্রাম শহরের দরিদ্রদের মধ্যে দারিদ্রতা আরও বেড়েছে। আমর্ত সেনের কথা টেনে তিনি বলেন, খাদ্যেও মজুদ থাকলেও তার যথাযথ বন্টন ব্যবস্থা না থাকলে দুর্ভিক্ষ ঠেকানো যায় না। এক্ষেত্রে একই ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়।
কাপের রেবেকা সান ইয়াত বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা চাদর বস্তিবাসীদের জন্য এই করোনাকালে কোনো কাজেই আসেনি। সরকার বস্তিবাসীদের নাগরিকই মনে করেন না। সবার আগে দরকার বস্তিবাসীদের মানুষের মর্যাদা দিয়ে দেখা আর বন্টন ব্যবস্থাটা ঠিক করা। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন