বুড়িচং উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলা টু পীরযাত্রাপুর জোবেদা খাতুন কলেজ রোডের বেহাল দশায় শিক্ষার্থী ও জনগণ চরম ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে। সরেজমিনে জানা যায়Ñ বহু পীর মাশায়েখের পুণ্যভূমিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও পূর্বে কোনো কলেজ ছিল না। পীরযাত্রাপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জাহের তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে পীরযাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে তাঁর মায়ের নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজের নতুন ভবন নির্মাণসহ উন্নত পাঠ দানে কলেজটি এগিয়ে গেলেও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির অভাবে কলেজের আশপাশের গোবিন্দপুর, কুসুমপুর, সাদকপুর, কোমাল্লা, নোয়াপাড়, আরাগ আনন্দপুর, শ্রীপুর, গোসাইপুর , এদবারপুর ও কণ্ঠনগরসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের শত শত ছাত্রছাত্রী পীরযাত্রাপুর জোবেদা খাতুন কলেজ ও স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধার পাশাপাশি ওই সমস্ত এলাকার সাধারণ জনগণও অফিসগামী লোকেরা তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম সম্পাদনে নিকটবর্তী বুড়িচং থানা এবং জেলায় যাতায়াতে ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে আরাগ আনন্দপুর হয়ে পীরযাত্রাপুর জোবেদা খাতুন কলেজে যাওয়ার এই রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশে মাটি ক্ষয়ে, খানাখন্দে ভরপুর হয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণ পায়ে হেঁটে গেলেও হোঁচট না খেয়ে পারছে না।
অধিকন্তু, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আরাগ আনন্দপুর, সাদকপুর, পীরযাত্রাপুর, শ্যামপুরসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের হাজার হাজার লোক বুড়িচং সদর কিংবা গোবিন্দপুর গোমতির ব্রিজ পার হয়ে কুমিল্লা-সিলেট সড়কের রামপুর হয়ে কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। চলাচলের মাধ্যম হিসেবে জনগণ সিএনজি অটোরিকশা বেছে নিলেও উক্ত রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত বোঝা নিয়ে বিগত সময়ে ও বর্তমানে ভারি ট্রাক চলাচল করার কারণে রাস্তার ইট, বালু ও কনক্রিট ক্ষয়ে গিয়ে রোডের মাঝে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে গেছে। ফলে ওই সমস্ত ছোট-বড় গর্তের কারণে প্রতিদিন উক্ত রোডে সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন