ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তিই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। হত্যাকারীরা প্রমাণ করতে চেয়েছিলো এটা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘটেছে। কিন্তু যখন ৩ নভেম্বর জেলখানায় বন্দী জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হলো তখনই স্পষ্ট হলো এ হত্যাকাÐ পারিবারিক শত্রæতায় নয়, এটা হয়েছে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধবংস করার জন্য। হত্যাকাÐের সেই দিন সৌভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গেছেন। সেই ঘাতকরা সেই দিনই বুঝে ছিলো বঙ্গবন্ধুর রক্ত বেঁচে থাকলে এ রক্তের প্রতিশোধ নিবেই। এ জন্য ১৯৮২ সালে দেশে ফেরার পর থেকে এ পর্যন্ত ২১ বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে শোকের মাস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মোঃ শাহআলম এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সম্পাদক মোবারেক হোসেন মল্লিক, সুলতান হোসেন খান, শহর সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগ এ শোক সভার আয়োজন করে। শোকসভায় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন