শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বোদায় গৃহপরিচারিকা শিশুটির মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পৌরশহরের কুড়ালীপাড়া গ্রামের জয়নালের শিশুকন্যা গৃহপরিচারিকা জুঁই (১২)-এর মৃত্যুর পর নানা গুঞ্জন ও তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার পৌরশহরে ফকিরপাড়া গ্রামের আলমগীরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বোদা পৌরশহরে থানাপাড়া গ্রামের মরহুম লুৎফর রহমান মাস্টারের কন্যা কুদরতন উন নাহারের স্বামী আলমগীর আলম দিনাজপুরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে তারা বোদা পৌরশহরের কুড়ালীপাড়া গ্রামের গরিব দিনমজুর জয়নালের শিশুকন্যাটিকে নিয়ে যায় গৃহপরিচারিকার কাজ করার জন্য। ঐ গৃহপরিচারিকা শিশুটির মৃত্যুর ১০ দিন আগে আলমগীরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে কাজ করার সময় গরম পানির বালতি হঠাৎ করে পড়ে গেলে তার শরীরের কিছু অংশ ঝলছে বা পুড়ে যায়। এ সময় গৃহপরিচারিকা শিশুটির পিতা আলমগীরকে খবর দিলে তিনি দিনাজপুরে দেখে আসেন। এ সময় গরম পানিতে ঝলছে যাওয়া শিশুটিকে আলমগীর কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি গত বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর পর তারা কন্যাশিশুটির লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে ঐদিন সন্ধ্যায় তার লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ গৃহপরিচারিকা আলমগীর গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া শিশুটিকে মৃত্যুর আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য লাশটি তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত না করিয়ে পরিবারের লোকজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে দ্রæত দাফন করেন। এ নিয়ে এলাকার লোকে মুখে শোনা যাচ্ছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য অর্থের আদান-প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৃহপরিচারিকা আলমগীরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিশুটি গরম পানির দ্বারা ঝলসে বা পুড়ে গিয়েছিল। পুলিশের ঝামেলা হতে পারে তাই সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করাইনি। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের শিশুকন্যাটি মারা যাওয়ার পর তারা খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে আনতে যেতে পারিনি। তখন তারা লাশটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের মুখে শোনা টাকা দিয়ে বিষয়টি আপোষ করার কথা তারা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি দিনাজপুরে হওয়ায় তাদের কিছুই করার নেই। তাছাড়া শিশুর পরিবারও কোনো অভিযোগ করেনি। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন