ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসার ভোগান্তি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি করোনা টেস্ট রিপোর্ট দ্রুত নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, বসন্তের কোকিলরা দলের দুঃসময়ে থাকেন না। তারা এখন দলের ভাবমর্যাদা নষ্ট করছে।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলমের কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। করোনা টেস্ট বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা টেস্ট আরো বাড়াতে হবে। রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি যাতে বিলম্ব না ঘটে, টেস্টের পরপরই যাতে রিপোর্ট পাওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। একজন ডাক্তার তার বাবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা দিতে পারেননি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন ডাক্তার হয়ে বাবা-মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে পারবেন না, পথে মারা যাবেন, এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে অনুরোধ করব, এই যে হাসপাতালে চিকিৎসার উপেক্ষা, এটা যাতে দূর হয়, সে ব্যবস্থা নেবেন। দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, যারা প্রবাসে চাকরি করেন, চাকরি আছে, চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য ফিরে যেতে টেস্ট করাতে গিয়ে সময়মতো রিপোর্ট পাওয়া যায় না। ফেরত আসতে হয়। এটা দেখবেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা দল ও সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা সরকার ও দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু করেন না। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা দল ও সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে অবলীলায়। বসন্তের কোকিলরা, সুবিধাবাদীরা দুঃসময়ে দলে থাকে না। ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরাই দুঃসময়ে দলকে ধরে রাখেন। তাই সবাইকে বলব, দলের কোনো স্তরে, কোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাভোগীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না। দেয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের করোনাভাইরাস চিকিৎসা সামগ্রীর সীমাবদ্ধতা ছিল। বিশ্বের কেউ বলতে পারবে না তাদের চিকিৎসা সামগ্রীর সীমাবদ্ধতা ছিল না। আমরা এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তবুও মাঝে মধ্যে দুঃসংবাদ আসে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন