দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে একদিনেই ৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড গড়ল। বরিশাল ও পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বৃদ্ধির সাথে শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ছি ৬৭ জন। যা আগের দিন ছিল ৫১। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে মৃত ৪ জনের মধ্যে দু জনই নারী। বরিশাল মহানগরীর জর্ডন রোডে ৬৩ বছর বয়স্ক এক পুরুষ ছাড়াও ঘনবসতিপূর্ণ বাজার রোডে ৭৫ বছর বয়স্কা এক নারী মারা গেছেন। দুজনেরই মৃত্যু ঘটেছে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাাতালে। এছাড়াও পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে সদর উপজেলার ৭৬ বছর বয়স্ক এক পুরুষ ছাড়াও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪৫ বছর বয়স্কা অপর এক নারীর মৃত্যু ঘটেছে করোনা সংক্রমণে। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৪৪ জন সহ এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৭৮৯ জন। আর মোট ৭ হাজার ৫০৩ জন আক্রান্তের মধ্যে শণিবার পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে ১৫৫ জনের। 

শণিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে ২৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। যে সংখ্যাটা আগের দিন ছিল ৫২। অপরদিকে ভোলাতে এসময়ে ২৭ জনের দেহে নমুনা পরিক্ষা দুজনের পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। তবে আইইডিসিআর-এর একটি ফিল্ড টিম পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় ১৮ জনের নমুনা সংহগ্রহ করে পরিক্ষায় ৮ জনের দেহে করেনা পজিটিভ সনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে। সনাক্তের হার প্রায় ৪০% ।
শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২০ থেকে ৩১ জনে উন্নীত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আগের দিন কোন মৃত্যু ছিলনা। এ পর্যন্ত বরিশালে মোট আক্রান্ত ৩,০৯৬ জনের মধ্যে ৬০ জনের মৃত্যু হল। পটুয়াখালীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ছয় থেকে তিনগুন বেড়ে ১৮ হয়েছে। মারা গেছে একজন। এ জেলাতেও আগের দিন কোন মৃত্যু ছিলনা। জেলাটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১,৩০৩ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩৬ জন।
পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের ১০ থেকে শণিবারে ৮ জনে হ্রাস পেলেও মারা গেছে একজন। আগের দিন এ জেলাতেও কোন মৃত্যু ছিলনা। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৯৭২ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। ভোলাতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৪ থেকে দুজনে হ্রাস পেয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৬৫২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
অপরদিকে বরগুনাতে শণিবারে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৮ জনের সমানই রয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৮৪৯ আক্রান্তের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝারকাঠী জেলায় শণিবারে নতুন কোন আক্রান্ত বা মৃতুর খবর নেই। এমনকি এ জেলাটিতে শণিবারে কারো সুস্থ হয়ে ওঠারও খবর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলাটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৬৩১ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শণিবার সকাল পর্যন্ত শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৩৩ জন, আইসোলেশনে ৩৬ জন ও আইসিইউ’তে ৭ জন চিকিৎসাধীন ছিল বলেণ জানা গেছে।