শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার উদ্যোগ

ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

গত ২০ আগস্ট থেকে বঙ্গোপসাগরের প্রবল তান্ডবে অস্বভাবিক ঢেউয়ের তোড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের ব্যাপক এলাকা ভাঙন কবলিত হয়।
গত ২০ আগস্ট থেকে ২-৩ দিন চলমান অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ এর তীরভূমি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কটি প্রায় ২৫ ফুট ভেঙে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ঐ সড়কের পূর্ব পাশের মসজিদ, মন্দির এলাকা, পশ্চিম পাশের পর্যটন পুলিশের ছাউনি ও পৌর শৌচাগার। সৈকতের পূর্ব পাশের ফার্মস এন্ড ফার্মস লিমিটেড নামের বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়ে। পর্যটন পার্ক, পাশের জাতীয় উদ্যানের অসংখ্য ঝাউগাছ উপড়ে যায়। ভাঙনের তীব্রতায় সৈকতের জিরো পয়েন্টের বালুর নিচে থাকা সাবমেরিন কেবলের আর্টিকুলেটেট পাইপলাইন বের হয়ে হুমকির মুখে পড়ে সাবমেরিন কেবলের ইন্টারনেট সেবা। ভাঙনের কারণে সৈকতের ভ্রাম্যমান সব দোকানগুলো সৈকত থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সৈকত লাগোয়া কিংস হোটেলটির কিছু অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ঢেউয়ের ঝাপটায় কুয়াকাটা বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ চরম ঝুঁকিতে। এদিকে এ ভাঙন ক্রমাগত বিস্তার লাভ করে সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের বিচ ম্যানহোলটি হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে পানিউন্নয়ন বিভাগকে ২৩ মার্চ চিঠি প্রদান করেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন বিচ ম্যানহোলটি কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমটি সম্প‚র্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। যাতে দেশের ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ২৭০ মিটার তীরভূমি রক্ষার জন্য জরুরি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া ভাঙন রোধে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আপাতত তিন হাজার ২০০টি বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হবে। সামনের সপ্তাহেই এ কাজ শুরু হবে।’
এদিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা সাগর সৈকতে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান।
সরেজমিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ কুয়াকাটায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে জানিয়েছিলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে গোটা সৈকত রক্ষায় কাজ শুরু হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন