ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন সড়ক, পরিববহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এমনই সময়ে সিলেটের ওসমানীনগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পল্লি বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, চারলেনের কাজ শুরু হলে এ খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। অপচয় হবে সরকারের সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা। পল্লি বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন চারলেনের দূরত্ব বজায় রেখে খুঁিট স্থাপনে সরকারের কোন জায়গায় নেই।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলাধীন অংশে মহাসড়কের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে পল্লি বিদ্যুতের খুঁটি। উপজেলার সীমান্ত ও সিলেট জেলার প্রবেশ পথ শেরপুর থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। এখনো অনেক কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে কাশিকাপন এলাকায় এ কাজ চলমান রয়েছে। যখন মহাসড়কে চারলেনের কাজ শুরু হবে তখন এ খুঁটিগুলো তুলে ফেলতে হবে। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। শেরপুর থেকে এ সংস্কার শুরু হয়ে বর্তমানে মহাসড়কের কাশিকাপন এলাকায় কাজ হচ্ছে।
আরো জানা যায়, সাদিপুর সাব-স্টেশনের অধীনে সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গাবাজার, পূর্ব পৈলনপুর (আংশিক), গোয়ালবাজার (আংশিক) ইউনিয়নের লাইন পৃথক করতে পুরাতন খুঁটির পাশাপাশি নতুন খুঁটিও স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লি বিদ্যুতের এক লাইন ম্যান জানান এ কাজ চলমান রয়েছে।
ওসমাননীগর উপজেলার কাশিকাপন পল্লি বিদ্যুত অফিস সুত্রে জানা যায়, মহাসড়কের পাশে পল্লিবিদ্যুতের খুঁটি নবায়ন করা হচ্ছে। এ নবায়ন প্রকল্পটি ২০১৪-১৫ সালে অনুমোদন করা হয়। এটি নতুন কোন কাজ নয় বিগত প্রায় ৬ মাস ধরে সংস্কার হচ্ছে। দর্ঘীদিন ধরে এ কাজ করা হচ্ছে এবং এ কাজ তদারকি করে পল্লি বিদ্যুতের সদর দপ্তর। পল্লি বিদ্যুতের অফিস আরো জানায় মহাসড়কের জন্য চারলেনের জন্য নির্ধারিত জায়গার পর সরকারের কোন জায়গা অবশিষ্ট নেই। কোন ব্যক্তির মালিকানা জায়গা দিতে চায় না। যার কারণে বর্তমান স্থানে সংস্কার করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সুত্রে জানা যায়।
সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ -১ ওসমানীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: ফায়জুল্লাহ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুনে আসছি মহাসড়কের কাজ শুরু হবে! আমরা চলমান মেরামত করছি। ব্যক্তি কেউ তার জায়গা দিবে না । তাই তাদের নির্ধারিত জায়গায় কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে সিলেট সওজ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কাজ কখন শুরু হবে সঠিক সময় তাদের জানা নেই। বিষয়টি ঢাকা অফিস ভালো করে বলতে পারে। তবে এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। সওজ কর্তৃপক্ষ পল্লি বিদ্যুত কর্তৃপক্ষকে চারলেনে জায়গা রেখে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো স্থাপন করার অনুরোধ করলেও তারা শুনছেন না বলে জানান।
সাদিপুর ইউনিয়নের সদস্য স্বপদ আহমদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ি আব্দুল মালেক বলেন, মহাসড়কের পাশ দিয়ে নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। চারলেন হলে এ খুঁটিগুলো সরাতে হবে। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। যদি এখন থেকে এ ব্যবস্থা করা হতো তাহলে সরকারের এ টাকাগুলো নষ্ট হতো না।
এব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়–য়া’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা মহাসড়কের পাশে খুঁটি স্থাপন করতে নিষেধ করলেও পল্লি বিদ্যুতের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এব্যাপারে সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ-২ ওসমানীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: ফায়জুল্লাহ বলেন, এ কাজ নবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫ সালে তা অনুমোদন করা হয়। চারলেনের জায়গা রেখে খুঁটি স্থাপন করতে হলে সরকারের কোন জায়গা নেই। খুঁটি স্থাপন করতে হলে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা কেউ দিবে না। তাছাড়া এ বিষয়টি উর্ধ্বতন মহল ভালো করে জানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন