শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে হয়রানি থামেনি

যাত্রীদের সঙ্গে ড্রাইভার-হেলপার কন্ডাকটরদের বিতন্ডা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাকালের আগের ভাড়ায় ফিরেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গণপরিবহন। তবে এখনও ভাড়া নৈরাজ্য থামেনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কঠোর হুশিয়ারি ‘গণপরিবহনে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে সরকারি নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ’ এর পরও কিছু গণপরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে রাজধানীতে গতকাল গণপরিবহনও কম দেখা গেছে। মহানগরীর বিভিন্ন রুটে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চালক ও হেলপারদের বাকবিতন্ডা হতেও দেখা গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, আগের ভাড়ার কথা মনে করিয়ে না দিলে নিজ ইচ্ছায় আগের ভাড়া নিচ্ছে না পরিবহনগুলো। আর এসব কারণেই বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হতে দেখা গেছে।

গতকাল ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের সংখ্যা বাড়লেও পরিবহনের সংখ্যা কমেছে। সকালের দিকে কিছুটা বেশি থাকলেও দুপুরের পর থেকে বাস কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে একটি পরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রী হতো। এখন সেখানে তার শতভাগ আসন ভর্তি করে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। পূর্বের ভাড়ায় ফিরলেও যাত্রী সংখ্যা বাড়েনি। সে কারণে বাসের সংখ্যা কম।

পরিবহনে আগের ভাড়ায় ফেরার ঘোষণা থাকলেও এখনও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এরপরও ভাড়া কমায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা। দুপুরে শনিরআখড়া থেকে মতিঝিল আসার জন্য হিমালয় পরিবহনে উঠলে ২০ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়। পরে আগের ভাড়া ১৫ টাকা নিলেও ফ্লাগুনি, ঠিকানা, অনাবিল, রজনীগন্ধা, মনজিল, লাভলী, শ্রাবণ, মেঘলাসহ অন্যান্য বাসে বেশি ভাড়া নেয়া হয়। তবে সবগুলো বাসে দেখা গেছে প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসা। কোথাও পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি। যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও।
গুলিস্তান মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি পরিবহনেই সবকটি আসনে যাত্রী রয়েছে। এ সময় মিডওয়ে পরিবহনের এক জন যাত্রী জানান, আগের ভাড়ার কথা কন্ডাক্টরদের মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে। তা না হলে তারা করোনাকালের জন্য যে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়, সেই ভাড়াই রেখে দিচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে এ নিয়ে বিতন্ডা হচ্ছে।
মনজিল পরিবহনের চালক এছহাক হোসেন বলেন, আগের ভাড়াই আদায় করছি। কিন্তু কিছু কিছু যাত্রী সেই ভাড়াও দিতে চায় না। যে কারণে কারও কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়। এছাড়া সিটের বাইরে কোনও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে বিআরটিএ’র উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভাড়া মনিটরিংসহ পরিবহনের অন্যান্য অনিয়ম দেখতে নগরজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তারা এসব বিষয় দেখভাল করছেন। কেউ আইন ভঙ্গ বা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন