মাদারীপুরে চিকিৎসার অভাবে ৫দিন ধরে হাসপাতালের ফ্লোরে পড়ে থাকা বাবার পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। মুমুর্ষ নুরু মাতুব্বরের দেখাশোনা করার জন্য অস্থায়ীভাবে একজন আয়াও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর মাদারীপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর এ মহতী উদ্যোগ নেয়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রাসেদুল জানান, গত রোববার থেকে হাসপাতালের দোতলার ফ্লোরে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকেন এক সময়ের তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী নুরু মাতুব্বর। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও নুরু মাতুব্বরের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ নেয়নি কোন খোঁজখবর। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ চারের পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় সমাজসেবা অধিদপ্তর। পরে মুমুর্ষর দেখাশোনা করার জন্য আছিয়া আক্তার নামে একজন আয়া অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ৪দিনে স্যালাইল ছাড়া কিছু না খেতে পারলেও এখন আয়ার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফল ও নরম খাবার খাচ্ছেন তিনি। সঠিক চিকিৎসা পেলে নুরু আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় চরমুগরিয়া এলাকার ‘তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। পরে ফ্যাক্টরীর মালিক নুরু মাতুব্বর বাড়ি বিক্রি করে ছেলেকে লন্ডন পাঠান পড়াশুনা করাতে। লন্ডন থেকে ফিরে এসে ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় ব্যবসা করছেন। পরে নুরু মাতুব্বরের বিঘার পর বিঘা জমি তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে লিখে দেয়ার পাশাপাশি তাদের সভ্রান্ত পরিবারে বিয়েও দেন। অথচ, গত ১৫ বছর ধরে বাড়িছাড়া ৬৫ বছর বয়সী ওই বাবা। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করলেও আজ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুশয্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন