আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থনপুষ্ট আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসোদা। ‘আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর’ অভিযোগে বুধবার তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও। তাদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আইসিসি। বেনসোদার সঙ্গে আদালতের বিচারব্যবস্থার প্রধান ফাকিসো মোচোচোকোকেও নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন পম্পেও। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিসি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে’। আমেরিকার এই ধরনের ‘অভূতপূর্ব’ সিদ্ধান্তকে আইনের শাসনের ওপর ‘গুরুতর হামলা’ বলে মন্তব্য করেছে হেগভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল। এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছেন, ‘নতুন এই পদক্ষেপ আদালতের বিচার ও প্রসিকিউটরিয়াল স্বাধীনতায় অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং গুরুতর অপরাধের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে উদ্বেগ, তা নিয়ে কাজ করায় বাধা তৈরি করেছে।’ এই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে তাদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হবে। যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কাজ করা এই আদালত আরও বলেছেন, তারা সবসময় ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মিশনে’ তাদের কর্মীদের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে থাকবেন। এই নিষেধাজ্ঞার পরও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগীদের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবেন। এই ‘অগ্রহণযোগ্য’ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অপরাধ আদালতের সদস্য দেশগুলো। আইসিসির অ্যাসেম্বলি অব স্টেটস পার্টিসের প্রেসিডেন্ট ও-গোন কোন বলেছেন, ‘একটি সন্ধিভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তকে আমি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’ রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন