কুষ্টিয়া জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এক প্রসূতি মারা গেছেন। এ ঘটনায় শরীরে ভুল রক্ত দেয়ার অভিযোগ তুলে তার স্বজনসহ এলাকার লোকজন বিক্ষোভ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে। ক্লিনিক মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মারা যাওয়া প্রসূতি শাপলা খাতুন (২২) কুমারখালী উপজেলার সোন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, লাইসেন্সের মেয়াদ প্রায় এক বছর আগে উত্তীর্ণ হওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। যে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেছেন তিনি জানিয়েছেন, হয়তো রক্তস্বল্পতার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়। প্রশাসন, পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রসববেদনা ওঠায় শাপলাকে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কথামতো স্বজনরা প্রসূতির শরীরে দেয়ার জন্য এবি পজিটিভ রক্ত এনে দেন। স্বজনদের অভিযোগ, তাদের সরবরাহ করা রক্ত না দিয়ে ক্লিনিকের লোকজন শাপলার শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত দেয়। এতে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে প্রসূতির স্বজনসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ ক্লিনিকটির মালিক মনিরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন