পটুয়াখালীর পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর ১০ দিনের মধ্যেই জাতীয় গ্রীডে সর্বোচ্চ ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।
গত শনিবার সকাল থেকে তা জাতীয় গ্রিডে সর্বোচ্চ ৫৩০ মেগাওয়াট পর্যন্ত সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জর্জিস তালুকদার। তিনি জানান, এখন টেস্টিং চলছে। আজকে আবার আমরা ৩৩০-এ নামিয়ে এনেছি। ধাপে ধাপে প্রসিডিউর ফলো করে আগাচ্ছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পুরোপুরি উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে নির্মিত পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য পায়রা থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলা পর্যন্ত আগেই ১৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল সার্কিটের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে। এ বছরের ১৩ জানুয়ারি এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। ১৫ মে থেকে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পুরোপুরিভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি কয়লাভিত্তিক জ্বালানি দিয়ে চালু করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা কেন্দ্রটির বাংলাদেশ এবং চীন সমান অংশীদার। চীনের এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন