বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অবহেলার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা

বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় কারও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গতকাল ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি হয়েছে অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ধারায়। এর জন্য তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যদি কারো গাফলতি পাওয়া যায়, তাদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে এক সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সে সময় মসজিদে থাকা অর্ধশতাধিক মানুষের সবাই কমবেশি দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে যে ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের ২৪ জন ইতোমধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন ১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আহতদের প্রায় সবারই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এসব কারণে কেউই এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত নন। হাসপাতালে আহতদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পর জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। আহতদের সঠিক চিকিৎসা দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে আরও বার্ন ইউনিট খোলা কোনো উদ্যোগ সরকার নেবে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আমাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

একই সময়ে অপর এক প্রশ্নের জববে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে নিহতদের সৎকারের জন্য বিশ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রতিমন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্রসহ সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাসের যে গ্যাসের পাইপ গেছে, সেখানে লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন আলাদা পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে। বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ, যেখানে ‘অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন