শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের

বাগেরহাটে অতিবৃষ্টি জোয়ারের পানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের ৭টি উপজেলার কয়েক হাজার মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। যদিও জেলা মৎস্য বিভাগ এই ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলায় ৫ হাজার ২৭৪টি মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। আর প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া বিলের মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্সের মালিক মৎস্য চাষি জাহিদুর রহমান জানান, আম্পান, বুলবুলের পরে সর্বশেষ অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তার ৪০ একরের মাছের ঘেরটি একেবারে ডুবে গেছে। এতে তার ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি এই ঘেরটি করে ছিলেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের চিংড়ি চাষি এনামুল হক জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তাদের বিলের মাছের ঘেরগুলো একাকার হয়ে গেছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রক্ষা করা যায়নি। এমন বিপর্যয়ে তিনিসহ এই এলাকার চিংড়ি চাষিরা চরম হতাশায় ভুগছেন বলে জানান। রামপাল উপজেলার ছোটকাঠালিয়া গ্রামের চিংড়ি চাষি রবিউল ইসলাম খোকন জানান, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে মাছের ঘেরগুলো ডুবে সব মাছ ভেসে গেছে।
এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, এখনই চিংড়ি ধরার সময়। এতদিন মাছ কম পেয়েছে চাষিরা। প্রতিটি ঘেরেই মাছ ভর্তি ছিল। এই মুহূর্তে জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ডুবে গেছে। বিশেষ করে রামপাল ও মোংলা উপজেলার ঘেরগুলোতে প্রচুর মাছ ছিল। এতে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি ক্ষতি নিরুপণ করে চাষিদের সরকারি সহায়তা দেয়ার আহবান জানান।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট জেলার ৭টি উপজেলার ৫ হাজার ২৭৪টি মৎস্য ঘের ডুবে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক তথ্য নিরুপণে কাজ করে যাচ্ছেন। ২-১ দিনের মধ্যে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন