দিনাজপুরের দ্বিতীয় স্থল বন্দর হিসাবে খুব শ্রিঘই দিনাজপুরের বিরল স্থল বন্দর চালু হতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তরিকুল ইসলাম বিরল স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করে এই কথা বলেন। বন্দরের জন্য ১৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। সরকার এই বন্দরটি চালুর ব্যাপারে অনেক সজাগ রয়েছে। বর্তমানে দেশের ৮টি স্থলবন্দরের প্রস্তাবনা সরকারের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে বিরল স্থলবন্দরকে বেশি করে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ সুবিধা থাকছে এই বন্দরে। ইতিমধ্যেই ভারতের রাধিকাপুর হয়ে রেলপথে মালামাল আমদানী কার্যক্রম চলছে। বন্দর পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিরল ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন জানান, ওয়ারহাউসসহ অন্যান্য সুবিধাদির জন্য সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক অবকাঠামো তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
বিরল ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের পরিচালক ও বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাষ্টমস এন্ড ভ্যাট এক্সাইজের রংপুরের কমিশনার শওকত আলী সাদী, রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের অতিরিক্ত চীফ ইঁিঞ্জনিয়ার আসাদুল হক, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ মাহমুদুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিরল ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন।
দিনাজপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যকে শুধু দেশ নয় দেশের বাইরের মানুষদের জানাতে হবে। এর জন্য বিরল স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। অচীরেই এই বন্দরটি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে। দেশের একমাত্র এই বন্দরেই রেল এবং সড়ক পথ স্থলবন্দর রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ভারতে নয়, পাশাপাশি নেপালে যোগাযোগ করা সহজ হবে। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সড়ক পথের নির্মান কাজ শেষ করেছে। ইতিমধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই স্থলবন্দরে একটি ষ্টেশন নির্মানের চিন্তা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন