পদ্মায় আবার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত রোববার মধ্যরাতে মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অর্ধেক নদীগর্ভে চলে যায়। বাকি অর্ধেক ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও ভাঙনের মুখে পড়েছে।
এর আগে পদ্মার ভাঙনে মাদারীপুরের শিবচরে কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি স্কুল বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নে চরাঞ্চলের বাতিঘর খ্যাত এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এরপর ২৩ জুলাই কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের একটি তিনতলা বিশিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়নের কাজিরসুরা বাজার। চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদীভাঙন শুরু হলে ভিটেমাটি হারা হয় অসংখ্য পরিবার। নদী ভাঙনের ফলে বসতভিটা হারিয়ে ভ‚মিহীন হয়ে পড়েছে কাজিরসুরা ও সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। এছাড়াও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ¯্রােতের তীব্রতার কারণে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
পদ্মার তীব্র স্রোতে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌ-রুটের শিমুলিয়া প্রান্তের ঘাটগুলো ভাঙনের মুখে পড়ে। এতে চার নম্বর ফেরিঘাট ভেঙে যায়। দুই নম্বর ঘাটেও ভাঙন দেখা দেয়। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় আকস্মিক ভাঙনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন