শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

না’গঞ্জে জেহাদীকে মুক্তি দিলে কঠোর আন্দোলন -মাওলানা আউয়াল

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:০৫ পিএম

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত যা বলছে সবই ভ্রান্ত, ওরা অন্যায়কারীর সাপোর্ট করে নিজেদের উগ্র পরিচয় দিচ্ছে। শরীয়তের কোথাও মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য জায়েজ নেই। সেখানে আলাউদ্দিন জিহাদীর মন্তব্য অত্যন্ত ঘৃণ্যতম। বিচার বর্হিভূতভাবে এবং লিখিতভাবে ভুল স্বীকার না করে আলাউদ্দিন জিহাদীকে মুক্তি দেয়া হলে, কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

এসময় আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, মাদ্রাসা ও হেফাজতের নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে তারা যা বলছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা। শফী সাহেবের মৃত্যু হয়েছে তার স্থানে অন্য কেউ বসে, খালি পদ পূরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।

নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ ২৩৩আক্রান্ত ৫ জনস্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঃ মরণঘাতি করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জন  আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ২ জন,  সদরে ২ জন ও রূপগঞ্জে ১ জন। এ নিয়ে পুরো জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৬৮৫ জনে। তবে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই। মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২ জনেই আছে। এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৮ জন। জেলায় এই পর্যন্ত মোট ৪৩ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩৩ জনের। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মারা গেছেন ৭৬ জন ও আক্রান্ত ২৩ হাজার ৯৫ জন। সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২৫ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ৫২৩ জন। বন্দর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৮ জন ও মারা গেছেন ৪ জন। এছাড়া আড়াইহাজার উপজেলায় আক্রান্ত ৬০১ ও মারা গেছেন ৪ জন, সোনারগাঁও উপজেলায় আক্রান্ত ৬০০ ও মারা গেছেন ২১ জন এবং রূপগঞ্জ উপজেলায় আক্রান্ত ১ হাজার ২৭৩ জন ও মারা গেছেন ১২ জন ।উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। ৩০ মার্চ প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে পুতুল নামে এক নারী মারা যায়। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট ঘোষনা করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল সকাল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেন আইএসপিআর। পরে নারায়ণগঞ্জের কপাল থেকে হটস্পটের তকমা তুলে নেয়া হয়েছে।#
সাথে (১নং) ছবি আছে।না’গঞ্জে জেহাদীকে মুক্তি দিলে কঠোর আন্দোলনমাওলানা আউয়ালস্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত যা বলছে সবই ভ্রান্ত, ওরা অন্যায়কারীর সাপোর্ট করে নিজেদের উগ্র পরিচয় দিচ্ছে। শরীয়তের কোথাও মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য জায়েজ নেই। সেখানে আলাউদ্দিন জিহাদীর মন্তব্য অত্যন্ত ঘৃণ্যতম। বিচার বর্হিভূতভাবে এবং লিখিতভাবে ভুল স্বীকার না করে আলাউদ্দিন জিহাদীকে মুক্তি দেয়া হলে, কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল।এসময় আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, মাদ্রাসা ও হেফাজতের নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে তারা যা বলছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা। শফী সাহেবের মৃত্যু হয়েছে তার স্থানে অন্য কেউ বসে, খালি পদ পূরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।#
সাথে (২নং) হাইকোর্টের ছবি আছে।নারায়ণগঞ্জে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি কান্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশস্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঃ নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী জিসা মনিকে কথিত ধর্ষণ ও হত্যা ও জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ওই ঘটনার এজাহার, আসামিদের জবানবন্দি, ভুক্তভোগী ও আসামিসহ সবার বক্তব্য সম্বলিত প্রতিবেদন আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৫ আগস্ট এই ঘটনার তদন্ত ও আসামিদের জবানবন্দিকে প্রশ্নবিদ্ধ হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন পাঁচ আইনজীবী। সেখানে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বাদী এবং আসামিদের বিবাদী করা হয়।পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মোহাম্মদ শিশির মনির। এই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।পুলিশ ও মামলার নথি সূত্রে, গত ৪ জুলাই শহরের দেওভোগের এলএন রোড এলাকার স্কুলছাত্রী জিসা মনি (১৫) নিখোঁজ হয়। ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন জিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে ৬ আগস্ট একই থানায় একটি অপহরন মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। ওই দিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনায় দুই দিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)। আসামিদের দুই দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে ওই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা জানায় আসামিরা। ঘটনার নাটকীয় রূপ নেয় গত ২৩ আগস্ট জীবিত অবস্থায় জিসা মনির ফিরে আসার পর। ওইদিন বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।জিসা মনি জানায়, ইকবাল পন্ডিত (একই মামলায় গ্রেফতার) নামে এক যুবকের সাথে সে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে তারা শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করে দেড় মাস একত্রে সংসার করেছে। তার সাথে অপহরণ, ধর্ষণ কিংবা হত্যার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।ব্যাপক সমালোচনার মুখে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার ও পরে বরখাস্ত করা হয়। তদন্তভার দেওয়া হয় একই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাইকে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।জিসা মনির জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার নথিসহ হাজির হতে হওয়ার নির্দেশ দেন বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাকে। সে অনুসারে তারা হাজির হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর ব্যাখ্যা দেন। এরপর আদালত ২৪ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখেন।#
সাথে (৩নং) ট্রেন এর ছবি আছে।নারায়ণগঞ্জে ট্রেন লাইনচ্যুত যাত্রীদের ভোগান্তিস্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেট এলাকাতে একটি ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার দুপুর একটায় নারায়ণগঞ্জগামী ওই ট্রেনের লাইনচ্যুতের পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসান ট্রেনটি দুই নাম্বার রেলগেট এলাকায় চারটি কোচের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেন চলাচল স্বাভাকি হতে সন্ধা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।সরেজমিনে চাষাঢ়া এবং কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে দেখা গেছে, এক ঘন্টা ধরে ট্রেন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন