আশাশুনিতে দপ্তরী কাম প্রহরি পদে চাকরি পেতে নিজের বয়স ছোট ভাই ও স্ত্রীর বয়সের চেয়ে কমিয়ে জাল জন্মসনদ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরি নিয়োগের জন্য আউট সোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগ নীতিমালা ২০১২ অনুযায়ী কুন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত সুধাংশু শেখর সরকারের বড় পুত্র শিব প্রসাদ সরকারকে ২৮/০৩/১৩ তারিখে নিয়োগ দেয়া হয়। শিব প্রসাদ তার বয়স ৩০ বছরের কমে রাখতে এনআইডি, জন্মনিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় তার জন্মতারিখ ৪ বার পরিবর্তন করেছেন। ১৯৯৬ সালে জন্মতারিখ ১৬/০৭/১৯৭১, ২০০৮ সালে জন্মতারিখ ১৫/০২/১৯৬৮, ২০১৩ সালে জন্মতারিখ ০৫/০১/১৯৮৩ এবং একই বছর খসড়া ভোটার তালিকায় জন্মতারিখ ১৬/০৭/১৯৭৯ দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ভলিউমে তার জন্ম তারিখের স্থানে ফ্লুইড দিয়ে মুছে ওভার রাইটিং করা হয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের প্রত্যায়িত স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর করা হয়নি। তবে শিবপদ সরকার চাকরি পেতে তার জন্মতারিখ দেখিয়েছেন ০৫/০১/১৯৮৩। যাতে তার বয়স ৩০ হতে মাত্র ৪ দিন বাকি ছিল। অথচ উপরোক্ত ভোটার তালিকাগুলোতে তার ছোট ভাই উত্তম কুমার সরকারের জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯/১১/১৯৭৫। অর্থাৎ তার ছোট ভাইয়ের থেকে তিনি প্রায় ৭ বছর বয়সে ছোট। যা রীতিমত হাস্যকর।
বুধহাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক বলেন, শিব প্রসাদ পিতার বড়পুত্র বলে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। যাতে তার জন্ম তারিখে তঞ্চকীর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, মৃত সুধাংশু শেখর সরকারের দু’পুত্রের মধ্যে শিব প্রসাদ সরকার বড় পুত্র এবং উত্তম কুমার সরকার ছোট পুত্র। কিন্তু শিব বড় হয়েও চাকরিতে বয়স কম প্রয়োজন হওয়ায় নিজের জন্মতারিখ ছোট ভাইয়ের জন্মতারিখের থেকে কম দেখিয়ে জাল জন্মসনদ তৈরি করেছে। এটি আমরা তখন জানতে পারিনি। এখন গ্রামের সকল মানুষ জন্মসনদ জালের বিষয়টি জেনে গেছে। বিষয়টি তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিব প্রসাদ বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও তিনি পিতার ছোট পুত্র। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য দিনধার্য করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন