মহাসড়কে সংস্কারের মধ্যে খানাখন্দের সৃষ্টিতে ও সড়কের দু" ধারে ঝুঁকেপড়া বড়বড় গাছগুলোর কারনে গাড়ি চলাচলে ঝালকাঠি -রাজাপুর ভান্ডারিয়া মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে । সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দ।ঝুঁকে আছে রাস্তা উপরে বড়বড় গাছ।
এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।জানাগেছে --
ঝালকাঠি জেলার মধ্যে রাজাপুর উপজেলাটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা । ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি,পিরোজপুর, বাগেররহাট খুলনা,বরগুনা, কাঠালিয়া, ভাণ্ন্ডারিয়া,পাথরঘাটা, ভায়া রাজাপুর রুটে যাত্রী বাস চলাচল করে প্রতিদিন।
এ মহাসড়ক দিয়ে দূর-পাল্লাসহ সব যানবহন চলাচল করে থাকে। খানা-খন্দে ভরা সড়কের কারণে দীর্ঘদিন এ রুটে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।। রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকের পরিচালকা মোঃ আহসান হাবিব সোহাগ বলেন- রাস্তার উপরের, পিজ ঢালাই রাস্তার পাশে ঝুকে পড়া বড় বড় রেইন্ট্রি যানচলাচল ঝুঁকি।গাছ উপকারী কিন্তু রাস্তা মাঝে পড়া গাচ গুলো কাট জরুরী।এলাকা গুলো হচ্ছে ঝালকাঠি -রাজাপুর ভান্ডারিয়া
সড়কের বাইপাস মোড়, বাঘরি বাজার,সমবায়,মিলবাড়ি সামনে, পাকাপোল, গাজিবাড়ি, গালুয়া বাজার, মধ্য বাঘরি,পিংরী, নলবুনিয়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের অবস্থা নাজুক। এসব এলাকার সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত সহ রাস্তার দু"ধারে ঝুকে পড়া বনজ গাছ।রাজাপুর উপজেলা বনকর্মকর্তা জানান- গাছ সড়ক ও জনপদে।এ গাছ কাটার দ্বায়িত্ব আমাদের নয়।
সড়ক বিভাগের নিয়োজিত ঠিকাদার এ সড়কের কাজ গত ৫/৬ মাস পূর্বে পিজ ঢালাই দিলে ও কাজের গুনগত মানের কারনে কাজ হস্তান্তরের পূর্বেই খানা-খন্দে সৃস্টি হয়েছে।করোনা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের অজুহাতে খানা খন্দগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। ৪/৫ মাস আগে করা পিজ ঢালাই করা স্হানে সড়কের মাঝখান থেকে খানা খন্দ হওয়ায় জনগনের দূর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শিগগিরই এ সড়ক সংস্কারের দাবি চালাচলকারী মানুষ ও এলাকাবাসীর।প্রবীন
গাড়িচালক মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান- মহাসড়কের দুই ধারে বড় বড় গাছ ঝুঁকে আছে।খনেক গাড়ি দূর্ঘটনায পড়ে হতাহত হচ্ছে, গাছগুলো অপসারন জরুরী, এ ছাড়া খানা খন্দে যান চলাচলে আমাদের কস্ট হচ্ছে। এ রুটে চলাচলকারী মানুষ খানাখন্দে ভোগান্তিতে পড়ছেন।রাজাপুর বাইপাস মোড়ে ব্যবসায়ী মোঃ লাল মিয়া গোমস্তা জানান--তার দোকানের সামনে বড় গর্ত, এ হরাতে পানি জমে, গাড়ি চলাচলের সময়ে পথচারীদের জামা কাপড় নস্ট হযে যায়। জনৈক রিক্সা চালক বলেন- মহাসড়কের এ রুটের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত আর তাতে জমে থাকে পানি। এসব ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে আমাদের।
ঝালকাঠি জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমাউন কবির জানান, মহাসড়কে ৩২কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে কয়েক মাস আগে ১৪কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হলেও ঠিকাদার কাজ হস্তান্তর করেননি।তিন বছরের মেয়াদ এ কাজ ।
খানাখন্দের বিষয়টি সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি৷ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহাসড়কের কাজ করোনা মহামারি ও বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।ছবির ক্যাপশন-- আজকের দুপুরে বাইপাসমোড় এলাকার সড়ক থেকে ধারনকৃত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন