শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

‘ছোট দলে বড় ভাঙন’

ব্রাকেটবন্দী ড. কামালের গণফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ছোট্ট দল। প্রতিষ্ঠার পর দলের অধিকাংশ নেতাই ‘গণফোরাম ত্যাগ’ করেছেন। এখন ২৭ বছরের মাথায় দলটি ভেঙে দ্বিখন্ডিত হলো। গতকাল দলটির বর্ধিত সভায় গণফোরাম থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মহসীন রশিদ, আহমেদ শফিকুল্লাহ ও মুসতাক আহমদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া দলটির প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে রাখা হবে কি না সে বিষয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীরা কাউন্সিলের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ। গণফোরামের একাংশের বর্ধিত সভার পর গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে গণফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য ২০১ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। মোস্তফা মহসিন মন্টু এই প্রস্তুতি কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার টানানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাই জাতীয় ঐক্য : বর্ধিত সভা: গণফোরাম’। উল্লেখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করতে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, আমসা আমিন গণফোরামে যোগদান করেন।

বর্ধিত সভার মূল মঞ্চে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন। জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯৩ সালে গণফোরাম গঠন করেন ড. কামাল হোসেন। সে সময় প্রখ্যাত অনেক নেতা দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে ড. কামাল সভাপতি ও সাইফুদ্দিন আহমদ মানিককে সাধারণ সম্পাদক করে দলটি পথ চলা শুরু করে। মাঝপথে প্রায় দুই ডজন প্রখ্যাত নেতা দলত্যাগ করেছেন। এর আগে গত ৪ মার্চ দলটিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। দলটির একজন সংসদ সদস্য থাকলেও সারাদেশে ১০ জেলায় জেলা কমিটি গঠনের মতো সাংগঠনিক অবস্থা নেই বলে জানা গেছে।

এদিকে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি ছাড়া অন্য করো বর্ধিত সভা ডাকার কোনো বৈধতা নেই। ওদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং এই ধরনের মিটিং করার বৈধতা নেই। এই মিটিংয়ের সাথে গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২৫ পিএম says : 0
ডক্টর কামাল হোসেনকে সামনে রেখে গণফোরাম দলটি গঠন করেছিলেন সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু। বলতে গেলে গণফোরামের বাবা মা ছিলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। এখন সেই তিনি গণফোরামের মূল দাবীদার দলের অধিকাংশ নেতাদেরকে নিয়ে আলাদাভাবে একনায়ক ডক্টর কামাল হোসেনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। বিচার করলে এই দলের অধিকাংশ নেতারা যেহেতু এই অংশে রয়েছেন সেহেতু প্রকৃত দলের দাবীদার এনারাই। শুধু মাত্র দলের সভাপতি আলাদা একটি অংশে থাকলে সেই অংশকে আসোল অংশ বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা কামাল হোসেনের একটি দল গঠন করার মত কোন ক্ষমতা ছিলনা তাই সেই সময়ে অন্যান্য আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসা নেতারাই সাথে ন্যাপের একটি অংশ তাঁকে বঙ্গবন্ধুর একজন অন্যতম সহযোগী হিসাবে সম্মান দিয়ে তাঁকে সামনে রেখে গণফোরামের জন্ম দিয়েছিলেন। সাধারন মানুষ কামাল হোসেনকেই দলের অন্যতম হিসাবে ভেবেছিলেন। এখন সেই সুবাদে কামাল সাহেব বলছেন, ‘আমি ছাড়া অন্য করো বর্ধিত সভা ডাকার কোনো বৈধতা নেই। ওদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং এই ধরনের মিটিং করার বৈধতা নেই। এই মিটিংয়ের সাথে গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই।‘ কামাল সাহেব গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে এধরনের কথা বলতে পারতেন না এটাই মহা সত্য। আরো একটি কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে, কামাল সাহেব পাকি মেয়ের জামাই সেই সুবাদে তিনি অজ্ঞাত ভাবে পাকিদের পক্ষেই কাজ করে আসছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাস পাকিস্তানে তার বড় শ্যালক যিনি সেই সময়ে পাকিদের মন্ত্রী ছিলেন তার ছত্র ছায়ায় নীরাপদে পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন। এরপর পাকি ষড়যন্ত্র মতোবেক সেসময়ের যুবক কামাল সাহেব বঙ্গবন্ধুর সাথে একই বিমানে পাকিস্তান ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পাত্র হিসাবে বিখ্যাত হয়ে উঠেন। আল্লাহ্‌ পরম দয়ালু সাথে সাথে আল্লাহ্‌ সুবিচারক তাই আজ সেই প্রসিদ্ধ কামাল সাহেব নিশ্চিহ্ন হতে যাচ্ছেন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন