চট্টগ্রাম থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে (১৬) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে এনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নুরুজ্জামানের বাড়ীর সাইফুল ইসলামের বশত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ধর্ষিতা, ধর্ষক ও সহযোগিদের আটক করে পুলিশ কে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতা সহ ৫ জনকে থানায় নিয়ে আসে।
ধর্ষক ও তার সহযোগিরা হলো, বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সৈয়দ ড্রাইভারের বাড়ীর মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান এর বাড়ীর রইসল হক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০), রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার ইছাক মিয়ার নতুন বাড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৫), একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন (৩৫)।
ধর্ষিতা কিশোরীকে ধর্ষক ইমন ও তার অপরাপর সহযোগিদের সহযোগিতায় সাইফুলের বাড়ীতে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে ধর্ষিতা কিশোরী অভিযোগে জানায়। ধর্ষিতা কিশোরী (১৬) চট্টগ্রামের একটি পোশাক তৈরীর কারখানায় চাকুরীরত। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
ধর্ষিতা কিশোরী অভিযোগে জানায়, ধর্ষক ইমন বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সুবাদে রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাস যোগে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাস স্টান্ডে নিয়ে আসে তাকে। সেখান থেকে ধর্ষক ইমনের সহযোগি সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস সিএনজি নিয়ে এসে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়ীতে নিয়ে যায়। এসময় সাইফুলের বাড়ীতে একটি টিনের ঘরে অপরাপর সহযোগিদের সহযোগিতায় বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার ইমন একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে।
এঘটনা এলাকার লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়ার পর গভীর রাতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম থেকে কিশোরী কোম্পানীগঞ্জে এনে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, এই নারী পতিতা। কিশোরী ভাসমান পতিতা প্রতিয়মান হওয়ায় ওই কিশোরীসহ তাদের ৫ জনকে ২৯০ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন