শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কেনাকাটায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

৯ মাসের মার্কেট সাইজ ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে ই-কমার্স এফ-কমার্সে বাড়ছে নারী উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান পাচ্ছে লাখ লাখ বেকার

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে দেশে শুরু হয় ই-কমার্স ব্যবসা। প্রথম দিকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন, মানুষকে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলা করে বিগত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অনলাইনে কেনাকাটা। তবে করোনাভাইরাস মহামারি ই-কমার্স খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষ করোনাকালে ই-কমার্সে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। করোনার আগে যেখানে বিশেষ উৎসব ও উপলক্ষ্যে পোষাক-পরিচ্ছদ, প্রসাধনী ইত্যাদি পণ্য কেনাকাটা হতো বেশি।

করোনা শুরু পর থেকে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় বাজার হয়ে ওঠেছে ই-কমার্স। গত সাত মাসেই কেবল ই-কমার্স এসোসিয়েশনের অন্তর্ভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কেট আকার দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। যেটি চার বছর আগে ২০১৬ সালে ছিল মাত্র ৬৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে এফ-কমার্স (ফেসবুক কমার্স), জেলা-উপজেলার ই-কমার্সগুলোর মার্কেটের আকারও কয়েক হাজার কোটি টাকা। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স মার্কেটের আকার ছিল ৫৬০ কোটি টাকা, পরের বছর সেটি দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬৩২ কোটি, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৫০৪ কোটি, ২০১৯ সালের ১৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ৯ মাসে এটি দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা।

শুধু পণ্য কেনাকাটায় নয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই এখন চলছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন অনলাইনে, পরীক্ষাও চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে। স্বাস্থ্যসেবায়ও ব্যবহার হচ্ছে টেলিমেডিসিন। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের রোগীরা এখন রাজধানীসহ বড় বড় হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে অনলাইনেই যোগাযোগ করছেন, নিজের সমস্যা তুলে ধরছেন, সমাধান নিচ্ছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। মন্ত্রী সভার বৈঠক থেকে শুরু করে বড় থেকে ছোট প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো হচ্ছে অনলাইনে। একইভাবে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট, চলাচলের ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং সবগুলোরই ব্যবহার বেড়েছে।

ই-কমার্সের বড় প্ল্যাটফরম চালডালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) জিয়া আশরাফ বলেন, গত কয়েক মাসে ই-কমার্সে প্রায় শতভাগ গ্রোথ হয়েছে। এটা এই শিল্পের জন্য ইতিবাচক। আশাকরি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই গ্রোথটা থাকবে। কারণ, মানুষের এখন অভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। ঘরে বসেই সব পাচ্ছেন। তাহলে কষ্ট করে কেন আর বাইরে যাবেন। তিনি আরও বলেন, আগে আমাদের প্রতিদিন অর্ডার নেওয়ার সক্ষমতা ছিল ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৭০০। এখন তা হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, করোনা শুরুর পর প্রথম দিকে আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার কারণে সেটি বড় বাঁধা হয়নি।

তিনি বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স অনেক তাৎপর্যপূর্ণভাবে গ্রো করছে। যারা আগে কখনো ভাবেনি ই-কমার্স ব্যবসা করছে ট্রেন্ডের কারণে তারাও এখন এই দিকে ঝুঁকছে। লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এই খাতে। মার্কেট অনেক পরিবর্তন হচ্ছে, মার্কেটের আকার বড় হচ্ছে। করোনার কারণে মানুষ এখনো বাইরে সেভাবে ভিড় পছন্দ করছে না। ফলে তারা অনলাইন কেনাকাটাকেই পছন্দ করছে। তবে এটি এখনো বড় শহরগুলোতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। গ্রাম পর্যায়ে এটি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যতেও এই গ্রোথ ধরে রাখা সম্ভব হবে। কারণ, হিসেবে দেশে ‘ডিজিটাল বায়ার’ বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ই-কমার্সের উত্থানে অনেক ফিজিক্যাল শপ ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তিনি মনে করেন, এই খাতে অনেক ধরনের প্রতারণাও হচ্ছে। আগে সেসব বন্ধ করতে হবে। এটা করতে পারলে আস্থার ভিতটা আরও শক্ত হবে।

ই-কমার্সের সম্ভবনার কথা বলতে গিয়ে তমাল বলেন, ক্রস বর্ডারে আমাদের অনেক সম্ভবনা রয়েছে। দেশের পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠানো গেলে গ্রামীণ শিল্প থেকে শুরু করে নানা জায়গার পণ্যগুলো বিশ্ব বাজারে পরিচিত হতো।

এছাড়া এখন প্রচুর নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন পেজে ই-কমার্স, এফ-কমার্স ব্যবসা করছে যেটি এই খাতের ইতিবাচক দিক বলে মন্তব্য করেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, গত ১০-১১ বছর ধরে ই-কমার্সকে আমরা যতটা জনপ্রিয় করতে চেয়েছি, করোনাকালে তার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় করতে পেরেছি। প্রায় সব পর্যায়ের লোকজন এখন বুঝতে পেরেছেন ই-কমার্স কী। এই সময়ে ই-কমার্সে ৫০ শতাংশের বেশি কেনাকাটা বেড়েছে।

এদিকে ফেসবুকনির্ভর ই-কমার্সগুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান বেশ শক্তিশালী হয়েছে। অনেক পেজ এসেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও এই সময়ে চালু হয়েছে একাধিক। রাইড শেয়ার প্রতিষ্ঠান ‘সহজ’ চালু করেছে ‘সহজ ফুড’। এই সেবার আওতায় প্রতিষ্ঠানটি গ্রোসারি ও ওষুধ ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। সেরাবাংলা-সেরা ৬৪, ডিএসক্সটেল, সেলএক্সট্রার মতো প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত আইটেম নিয়ে। ছোটদের পণ্য নিয়ে ভালো করছে আলাদিন ডট কম। অর্গানিক ফুডের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে নিওফার্মার। ইভ্যালি ও প্রিয়শপ ডট কম চালু করেছে গ্রোসারি সার্ভিস।

আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এই সময়ে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। তাদেরকে নীতিমালা ও আইনের আওতায় আনতে হবে। পেমেন্ট নিয়ে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। আস্থার জায়গা তৈরি করতে হলে এটা দূর করতে হবে। বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানও পেমেন্ট ও রিফান্ড নিয়ে ঝামেলা করে, দীর্ঘ সময় নেয়। সেসব দূর করতে পারলে এই খাতের প্রবৃদ্ধি এখনের চেয়ে বেশি হবে।

এফ-কমার্সেও বড় মার্কেট প্লেস: কেবল ওয়েবসাইট ভিত্তিকই নয়, এখন ফেসবুক কেন্দ্রীক বড় অনলাইন মার্কেট গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের নামে ফেসবুকে পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করছে। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকেই পেজ খুলে ব্যবসা করছেন। আবার সমন্বিতভাবে এফ-কমার্সও এখন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। তেমনি একটি এফ-কমার্স প্লাটফর্ম হচ্ছে- উইমেন্স এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। এই প্লাটফর্মের সদস্য সংখ্যা ১০ লাখ ২২ হাজারের বেশি। এই ফোরামের বেশিরভাগ নারী সদস্য ব্যবসা করছেন। যার প্রায় সব পণ্যই দেশীয়।

এই প্লাটফর্মের উদ্যোক্তা ও ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ জানান, উইতে অনেক না হলেও কিছু শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার কিছু না কিছু বিক্রি করে করোনাকালে সংসার চালাচ্ছে। এমনকি কেউ ঘরে তৈরি রুটি বিক্রি করেও আয় করছে। তা দিয়ে তাদের প্রতিদিনের বাজারের খরচ উঠে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি যেহেতু প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে তাই এতে যারা কাজ করছে তাদের সম্মান ও সুনাম সবই ধীরে ধীরে আসবে। দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি বড় হতে হবে সবার স্বার্থে। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা আর ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের তৈরি অনেক পণ্যের আমরা নামই জানি না। দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এদিকে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Sujoy Mohajan ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৫ এএম says : 0
পরিচিত মুদির দোকান, পাড়ার সুপারশপ থেকে অনেক দ্রুত সার্ভিস পাওয়া যায়। অনলাইনে যাবে কেন, কোন সুবিধার টানে? আমার তো মনে হয় করোনা পরবর্তী সময়ে অনলাইনের ব্যবসা কমবে। সুপারশপগুলো হোম ডেলিভারি সার্ভিস অব্যাহত রাখলে সেটা অনেক বেশি জনপ্রিয় ও আস্থার হবে। এ করোনাকাল আমাদের অনলাইন ব্যবস্থার বাস্তব সক্ষমতাটাই আমাদের সামনে তুলে ধরল।
Total Reply(0)
Zeeshan Kingshuk Huq ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৫ এএম says : 0
১. ভোক্তারা কি যথাযত দামে কিনতে পারছে এই দুর্দিনে ? - প্রধান ইকমার্সগুলো যথাযথ দামেই কিন্তু পণ্য বিক্রি করছে। খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্যে কি এদের কেউ বিক্রি করছে? করছে না।
Total Reply(0)
Zeeshan Kingshuk Huq ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৬ এএম says : 0
২. এই দুর্দিনে ডেলিভারির জন্য ৩-৪ দিন মেনে নিলেও; সুদিন আসলে এটা ই-কমার্সের সুনামের জন্য ডেন্ট হয়ে থাকবে। -- না, থাকবে না। ক্রেতারা এতটা অবুঝ নন। তাঁরা ভালই বোঝেন এখন কেন দেরী হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ১ ঘণ্টার ভেতর গ্রসারি বা ১ দিনের ভেতর প্রিন্টার ডেলিভারি চলে আসবে।
Total Reply(0)
মোঃ নাজমুল ইসলাম ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৮ এএম says : 0
বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রসারটা গত চার বছরে বহু গুণ বেড়েছে। দারাজ অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা আমাদের মার্কেট প্রবেশ করেছে, এসেছে উবার; বাংলাদেশের কোনো ই-কমার্স কোম্পানি প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যায়ন পেয়েছে। এই প্রথম এককভাবে দুই মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন এই শিল্পে— তাও মাত্র দুই বছরে পাঁচটি কোম্পানিতে।
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৮ এএম says : 0
ই-কমার্সে প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান পরিমাপ হচ্ছে গ্রস মার্চেন্ডাইজিং ভ্যালু (জিএমভি) বা কতো টাকার অর্ডার পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেটাও বাংলাদেশে বেড়েছে কয়েক গুণ। দারাজের মতো কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে দুই বছরে ১০ গুণের বেশি।
Total Reply(0)
তপন ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৯ এএম says : 0
গত ১৬ মার্চের পর থেকেই দেশের কিছু কিছু জায়গায় মানুষজন ঘরে নিজেদের গুটিয়ে আনা শুরু করে। গত ৮/৯ বছর থেকে চালডাল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ঢাকায় গ্রোসারি বিক্রি করে আসছে। তাদের অর্ডার পরের সপ্তাহেই চার গুণ হয়ে যায়।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২০ এএম says : 0
সাধারণ কেনাকাটার ই-কমার্সের বাইরে আরও অনেক স্টার্ট-আপ আছে। সিমেড যেমন তাদের রোগ নির্ণয়ের প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে সরকারের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট বুথ তৈরি করেছে— সেখান থেকে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক করোনা সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায়। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো রাস্তার টং দোকান থেকে জিনিস কিনে পৌঁছে দিচ্ছে।
Total Reply(0)
বদরুল সজিব ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২১ এএম says : 0
তবে এই সঙ্কটে যেভাবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন, এটুআই ও শীর্ষ ই-কমার্সরা নেপথ্যে থেকে সরকার, এই শিল্পখাত, এবং সর্বোপরি ক্রেতাসাধারণের জন্য এক সঙ্গে কাজ করেছে, সেটা অনেকেই হয়তো জানেন না। প্রতিদিনের ডেলিভারি যেন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়, সেজন্য মাত্র দুই দিনের ভেতর প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেলিভারি কর্মীর এক তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। একে-অপরের অভিজ্ঞতা থেকে যেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, সবাই সবার সঙ্গে যেন সমন্বয় করে চলতে পারে, সেটার জন্য দলবদ্ধভাবে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে।
Total Reply(0)
নাজনীন জাহান ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২২ এএম says : 0
যেসব ই-কমার্স খানিকটা ম্যাচিউরড হয়েছে, যাদের হাতে আগামী বছর খানেকের বেশি খরচ বহনের সামর্থ্য আছে, যাদের ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি শক্ত হয়েছে, এই পরিস্থিতি তারাই খানিকটা মানিয়ে নিয়েছে।
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২৩ এএম says : 0
দেখে যতটা মনে হয় যে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর এখন রমরমা ব্যবসা চলেছে, বিষয়টা আসলে সেরকম না। কারো কারো ব্যবসা বেড়েছে, তবে অর্ডার আসলে আসছে মাত্র তিনটা ক্যাটেগরিতে: ১. গ্রোসারি, ২. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ৩. ওষুধ/ মেডিকেল পণ্য। ফ্যাশন ও ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম ই-কমার্সের প্রায় ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ। এখন এগুলোর ব্যবসা নেই বললেই চলে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন