গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ড্রেজার দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। অবাধে বালু কাটার ফলে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়ে অদূর ভবিষ্যতে এসব এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকারি বিধি নিষেধ থাকা সত্বেও এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে পাশাপাশি চারটি ড্রেজার বসিয়ে রাস্তার পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছেন হাফেজ রফিকুল ইসলাম সামিম মিয়া,রিপন ও আলম শেখ। এদিকে শুয়াগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশ থেকে অমল মধু ও দক্ষিন পাশ থেকে গ্রাম পুলিশের সদস্য নির্মল চন্দ্র বৈদ্যকে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। এছারাও পিনজুরি,আমতলী,রামশীল,সাদুল্লাপুর,কলাবাড়ি,কান্দি,কুশলা,রাধাগঞ্জ ও হিরন ইউনিয়নে বালু উত্তলোন করতে দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমি ও পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এসব অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা। শুয়াগ্রামের বালু ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র বৈদ্য জানান এ উপজেলায় প্রায় তিনশত ড্রেজার রয়েছে,তারা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার জলাশয় থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে,এর মধ্যে ২৮০ টির তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে।
বালু উত্তোলন বন্ধে মাঝে মধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও জমির মালিকে জরিমানা করলে ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্হা নিতে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন-তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ব্যবস্হা নিচ্ছি আইনপরিপন্থি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন