পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : ৬৭ বছর পর জমির স্বত্ব অনুযায়ী জমির পর্চা পাচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকরা। অনেক চড়াই উৎরাই পার করে বর্তমান দেশের ছিটমহলকে অভ্যন্তরিন ভূখন্ডে রুপান্তরিত করেন। স্বাধীনতার পরবর্তী ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই ছিটমহলে যারা বসবাস করছিলেন তারা ভারত-বাংলাদেশ কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব পাননি এতোদিন। না “ঘরকা- না ঘাটকা” এই গøানির অবসান হয়েছে গত বছর। বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক সদিচ্ছার এটি বড় দৃষ্টান্ত। এতে ঝুলে থাকা ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির অবসান ঘটলো। স্বাধীনতার পর ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির যে ইতিহাস সেটি মুছে গেলো। অন্য সব মানুষের মতোই নিজের স্ব-দাবি পূরণ হলো দীর্ঘ দিনে। এতোদিন যে কষ্ট আর গøানি নিয়ে চলতেন সে গøানি তাদের আর কখনো হাতছানি দিবে না। গত বছর ভারত-বাংলাদেশ সরকারের সবোর্চ্চ পর্যায়ে এটি অনুমোদন লাভ করে ছিটমহল নামটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরেই মন্ত্রী, সচিব, জেলা প্রশাসক, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্টরা মাঠ পর্যায়ে দফায় দফায় সাবির্ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সহ এখানকার নাগরিকদের জমির সব কাজ সম্পাদন করেন। এর মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যায়। এখন জমির দখল স্বত্ব অনুযায়ী মাঠ পর্চা দেওয়া শুরু হয়েছে। গত ২ আগষ্ট হতে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের নাটকটোকা মৌজায় এই পর্চা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গত ১০ আগষ্ট পর্যন্ত ১৪০টি মাঠ পর্চা দেওয়া হয়েছে বলে ওই মৌজার টিম প্রধান দেবাশীষ কুমার ঠাকুর জানান।
এরপর প্রচলিত নিয়মেই সেটেলমেন্ট অফিস কর্তৃক এর যাবতীয় কার্যক্রম (তসদিক) সহ সকল ধারায় জমির স্বত্বভোগের পুরো মালিকানা পাবেন জমির মালিকগন। পরিদর্শন ও প্রাথমিক কার্যাদি সম্পাদন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে রয়েছেন সেটেলমেন্টের অফিসের দুইজন কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন