রাজশাহী ব্যুরো : ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেসের পরিচালকসহ তিনজন বিনা টিকিটের যাত্রীদের হামলার শিকার হয়েছেন। জিআরপি পুলিশও হামলাকারীদের মদদ দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন পার হওয়ার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ভোরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে প্রতিবাদে রেলস্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করে ট্রেনের টিটিরা তারা শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকামুখী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী জিআরপি থানার হাবিলদার গাজিউর রহমান ও কনস্টেবল আবদুল হামিদকে সাসপেন্ড করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ অবস্থায় ১৫ মিনিট দেরিতে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়। এছাড়া বিক্ষোভের কারণে এক ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে রাজবাড়ীগামী আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস। এতে শুক্রবার ছুটির দিন সকালে হঠাৎ করেই ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সকালে রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভের সময় ঘটনার শিকার পদ্মা ট্রেনের পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ট্রেনের মধ্যে বিনা টিকিটের যাত্রীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় জিআরপি পুলিশও হামলাকারীদের হয়ে তাদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিটিই ওয়ালিউলাহ বাবু ও ট্রেনের অ্যাটেন্ডেন্ট তারিকুজ্জামানও আহত হন। তাদের সবার পোশাক পর্যন্ত ছিড়ে ফেলে হামলাকারী। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার পর তারা সবাইকে বিষয়টি জানালে অন্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ সময় ঢাকাসহ অন্যান্য রুটের টিটিইরা স্টেশনের প্লাটফর্মে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেনডেন্ট জানান, সকালে বিক্ষোভের ঘটনার পর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর হোসেন ওই অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ডের কথা জানান। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) খায়রুল আলম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দেরিতে হলেও ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন