নোয়াখালী ব্যুরো : চলতি মৌসুমে নোয়াখালীতে রোপা আমন চাষ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে আমন রোপার ধুম পড়েছে। এবার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯ শত হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হলেও হাইব্রিড ও উন্নতমানের বীজ ব্যবহারের কারনে স্থানীয় কৃষকরা স্বল্প সময়ে আমন ঘরে তুলতে পারবে। জেলার সর্বাধিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন হয়েছে হাতিয়া উপজেলায়।
এখানে উফশী জাতের ১০ হাজার ৭শ ৯৭ ও স্থানীয় জাতের ৪৫ হাজার ৪শ ২৩ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঊফশী জাতের আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ও স্থানীয় জাতের ২৬ হাজার একর। এছাড়া সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ৫শ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৬ হাজার হেক্টর আবাদ হয়েছে। সুবর্নচর ঊফশী জাতের ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৯ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও অতিবর্ষণে পানি জমে থাকায় আবাদ কিছুটা বিঘœ হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ঊফশী জাতের ৬ হাজার ৫শ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সেনবাগ উপজেলায় ঊপশী জাতের ১শ ১৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারনের কবিরহাট উপজেলায় ঊপশী জাতের ৩ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
চাটখিল উপজেলায় ঊপশী জাতের ১০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলায় ঊপশী জাতের ১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সুবর্নচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামের আলা উদ্দিন জানান, সময় মত আমরা কৃষি ঋণ পাইনা। যখন ঋনের প্রয়োজন হয়না, তখন সরকার আমাদের ভর্তুকী দিয়ে থাকে। এছাড়া দিনমজুর সংকট থাকায় আমন আবাদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নোয়াখালী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রনব ভট্্রাচার্য্য জানান, এখন পুরোদমে রোপা আমন আবাদ চলছে। কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন