কাতারে মোতায়েন তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির সমালোচনা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, তুর্কি ঘাঁটির জন্য মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ গত শনিবার তার টুইটার একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি অনেকটা জরুরি অবস্থা জারির মতো। তুরস্ক মেরুকরণ জোরদার করেছে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় নেয় নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এর কয়েকদিন আগে সব ধরনের তুর্কি পণ্য আমদানি বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন সউদী আরবের ব্যবসায়ী প্রিন্স আব্দুর রহমান বিন মুস’আদ। পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য কাতারে তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে এরদোয়ান মন্তব্য করার পর এ ডাক দেন তিনি। যদিও তার অনেক আগে থেকেই তুর্কি পণ্য বর্জনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সউদী কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ চাপিয়ে দেয় সউদী আরব, আমিরাত, মিশর ও বাহবাইন। তখন বিখ্যাত মুসলিম সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদের নামে তৈরি তুর্কি ঘাঁটিতে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে এরদোয়ান সরকার। দেশটিতে তুরস্ক ও ইরান জরুরি খাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়ে পাশে দাঁড়ানোয় সউদী জোটের অবরোধ ভেস্তে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথম কোনো বিশ্ব নেতা হিসেবে এরদোয়ানকে ফোন করে সমর্থন জানান কাতারের আমির শেখ তামিম। সেইসঙ্গে এরদোয়ানের নিরাপত্তায় কাতারের বিশেষ বাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি ইউনিট তুরস্কে পাঠান তিনি।
মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড, ফিলিস্তিনের হামাস এবং ইরান ইস্যুতে সৌদি জোটের বিপরীত মেরুতে একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তুরস্ক ও কাতার। সূত্র : পার্সটুডে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন