মংলায় স্কুল খুলে বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । সেই সাথে শিক্ষার্ত্রীদের কাছে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য তৈরী করা সিলেবাস।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে এই সকল প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারিজের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মংলার সুনামধন্য সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
করোনা মহামারির কারনে সারা দেশব্যাপি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে সরকার । সেই নির্দেশনা মোতাবেক মংলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল । হঠাৎ করে মংলার সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের অভিভাবক ও শিক্ষার্ত্রীদের বিদ্যালয় আসার খবর দেন। সেই মোতাবেক তারা রোববার ও সোমবার স্কুলে এনে ভিড় জমায় । স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সিলেবাস এবং আদায় করছেন বেতন । যারা বেতন নিয়ে আসেনি তাদের পরে দেওয়ার জন্য জানিয়ে দেন ।
কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জানায়, স্কুল থেকে স্যার খবর দিয়েছে তাই এসেছি । আমাদের কাছ থেকে বেতন নিয়েছেন এবং সিলেবাস দিয়েছেন স্যার । স্যার আমাদের বলেছেন বার্ষিক পরীক্ষা হবে।তাই সেই মোতাবেক প্রস্তুতি গ্রহন করতে বলেছেন আমাদের ।
অভিভাবক রবিউল ইসলাম টিটু জানায়, এক সাথে এভাবে ছেলে মেয়েদের ডাকা ঠিক হয়নি । করোনা সংক্রামনের আশংকা রয়েছে।
সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক চিরঞ্জিত সরকার জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে আমরা সিলেবাস দিচ্ছি । তারা যেন বার্ষিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে ।সামনে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আনোয়ার উল কুদ্দুস জানান জানান, তিনি কোন প্রতিষ্ঠানকে খুলতে বলেননি । তারা যেন আর স্কুল না খোলেন তার জন্য বলা হয়েছে ।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শ্যামাপদ জানান, সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১৭০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী রয়েছে । তারা বা তাদের অভিভাবক এসে স্কুলে জড় হন তা হলে অনেক ভিড় হয় বলে আমি নিজে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেছি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার জানান, সরকারি নির্দেশনা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে । সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয় যদি এ আদেশ না মেনে বিদ্যালয় খুলে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মংলার সুনামধন্য সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়টিতে ১৭০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে । খ্রিস্টান মিশনারিজ দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় । করোনার এই সময় এভাবে স্কুলটি খোলায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন