কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পঞ্চম দফা বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভাঙ্গামোড়-সারডোব সড়কের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সড়কে প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ ভাঙা অংশে গভীর খাল হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় পারাপার করে আসছিল ওই এলাকার মানুষ।
বিভিন্ন জায়গায় দেনদরবার করেও কোন ফল না আসায় এবার গ্রামের মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশ ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের উপর সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করেছে। এতে ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড় ও সদর উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন হলোখানা ইউনিয়নের প্রায় ১৪টি গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে আসা রফিকুল, রমজান ও আহাদ আলী জানান, এই এলাকার প্রধান সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাঙামাটি, কাগজিপাড়া, আগগ্রাম, পাঁচগ্রাম, আলগারচরসহ সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর হলোখানা, কাগজিপাড়া, সারডোব, ছাটকালুয়াসহ প্রায় ১৪টি গ্রামের মানুষ অনেক কষ্ট করে পারাপার করছিল। জনপ্রতিনিধি ও অফিস আদালতে যোগাযোগ করেও কোন ফল না পাওয়ায় স্থানীয়রা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ শুরু করে। পরে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু এতে আর্থিকভাবে কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়ান। গত দু’দিনে ৪৫ থেকে ৫০ জন যুবক ভাঙা খালের উপর সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করেছে। কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এতদিন শিশু, নারী ও অসুস্থ লোকজনের পারাপারে খুব কষ্ট হতো। এখন সে কষ্ট থাকবে না বলে খুশি এলাকার মানুষ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানান, স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরির খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীকে উৎসাহ দিয়েছি। সামনে বরাদ্দ এলে সবার আগে ওই সড়কের খাল ভরাট করে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন