পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয় ফেনীতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. ইউনুস বাবু। তাকে শেষ বিদায় জানাতে সর্বস্তরের হাজারো মুসল্লী অংশ নেন নামাজে জানাজায়। গত সোমবার রাত সাড়ে আটটায় সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের ওসমানিয়া আলীয়া মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির আবু ইউছুপের বড় ছেলে মো. ইউনুস বাবু। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বাবু ছিল সবার বড়। সে ফেনীর আইসিএসটি থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে স্কলারশিপ নিয়ে দেড় বছর যাবৎ চীনের আহট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারং পড়ছে। করোনাকালীন সময়ে দেশে এসে পিতা-মাতার সাথে ফেনী শহরের শাহীন একাডেমী রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকত। গত ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে তার বন্ধু ইউনুস নবী রাকিব ও শাহারিয়া তাকে মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে ডেকে আনেন।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ফেনী শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার সফিকুর রহমান সড়কের তাসফিয়া ভবনের সেপটিক ট্যাংকে থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাবুর বন্ধু শাহারিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ইঞ্জিনিয়ার বাবুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ১১ অক্টোবর রোববার তার মা বাদী হয়ে ফেনী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কদলগাজী তেমুহানীর রেনু হাজারীবাড়ির নূর আলমের ছেলে ইউনুস নবী রাকিব ও তাসফিয়া ভবনের কেয়ারটেকার দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের ফকির হাফেজ বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে মোজাম্মেল হক শাহীনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার দুপুরে ওই মামলায় তাসফিয়া ভবনের কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহীনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় জানান, বাবুর বন্ধু শাহারিয়া এই মামলায় প্রধান সাক্ষী হিসেবে ভ‚মিকা পালন করবে। এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি রাকিবকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন