মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চলতি বছরেই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক

পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি বছরেই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী ঢাকা ও দিল্লি। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতের পর একথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বেশ কিছু বৈঠক সামনে হবে। জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠক অনেক দিন হয় না। যদি সম্ভব হয় এ বছর কমিশনের বৈঠক হবে। তবে তার আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠক হতে হবে। পানি সচিব কবির বিন আনোয়ারের দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উনি যেতে পারেননি। আগে পানি সচিবের বৈঠক হবে, তারপরে জেআরসি হবে। এ বছরের মধ্যে চেষ্টা করবো।

তিস্তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক অভিন্ন নদী আছে এবং একইসঙ্গে অন্যান্য নদীর বিষয়েও অগ্রগতি আছে। সেগুলোও আমরা একইসঙ্গে সেরে ফেলার চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, তিস্তার জন্য অন্যান্য অগ্রগতি থামিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সুতরাং, যেখানে অগ্রগতি হচ্ছে সেই জায়গাগুলোতে আমরা এগিয়ে যাবো। তিস্তার ক্ষেত্রে টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করবো। এয়ার বাবলের বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা খুব কাছে পৌঁছে গেছি। আমরা কিছু অনুরোধ করেছি, তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

সিভিল এভিয়েশনসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাজ হলো এটিকে চূড়ান্ত করা জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি যারা মেডিক্যাল রোগী ও তাদের সঙ্গীরা যেতে পারবেন। এখন একজন রোগীর সঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট যেতে পারেন। আমরা একজন রোগীর সঙ্গে যেন দুই জন অ্যাটেনডেন্ট যেতে পারেন, তার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তারা এখন তিন জনে সম্মত হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রথম বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনও পণ্য নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে ভারতের হাইকমিশনার বাণিজ্যিক সম্পর্কে যে ইরিট্যান্টগুলো আছে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এটি সব সময়ে উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কিন্তু এটিকে আরও ভালো করা সম্ভব, যদি আমরা এই বাধাগুলো দূর করতে পারি। দুদিকেই কিছু কাজ করা আছে। আমাদের কিছু কাজ করার আছে, ওনাদেরও আছে। আমরা ঠিক পথে আছি। ভারতের হাইকমিশনার এ বিষয়ে জানেন। প্রথম দফা সৌজন্য সাক্ষাতের পরে আমরা দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করবো। পেঁয়াজ বা পাট বাণিজ্য বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, আমাদের কাছে যা নেই, সেটি আমরা দিতে পারি না। তিনি বলেন, তবে একটি জিনিস ঠিক যে, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে আমাদের আরও ভালো কিছু করার আছে। কীভাবে সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জানাবো।

কয়েক ধরনের পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে। তবে এগুলো পাঠানো নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। সীমান্ত অঞ্চলে কোভিডের কারণে বন্দরগুলো উন্মুক্ত হয়নি। এজন্য আমরা সুপারিশ করেছি চেন্নাই থেকে জাহাজে করে পাঠানোর জন্য।

দুই দেশেই বাণিজ্য নিয়ে কিছু সমস্যা আছে জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য রফতানি করেছে ভারতে গত দুই বছর ধরে। আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। আগামী মাসগুলোতে বাণিজ্য কর্মকর্তারা কোভিডের কারণে কী কী সমস্যা হচ্ছে, সেটি নিয়ে আলোচনা করবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন