শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ছাত্র অধিকার পরিষদের বহিষ্কৃতদের নতুন কমিটি

সরকারের ষড়যন্ত্রেরই অংশ; রাশেদ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৪১ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকান্ডের জড়িত হওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃতরা নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে। নুর-রাশেদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একটি বিদ্রোহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন গত মে মাসেই সংগঠনপরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত জগন্নাথ বিশ^বিধ্যালয় সমন্বয়ক এপিএম সুহেল। তবে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক রাশেদ খান বলছেন, নতুন কমিটি সংগঠনটির পথচলাকে বাধাগ্রস্থ করতে সরকারের দমন পীড়ন ও ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
নতুন এ কমিটি সংগঠনটির আগের নাম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ফিরিয়ে এনে ২২ সদস্যের এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহŸায়ক ও নতুন কমিটির আহŸায়ক এপিএম সোহেল। কমিটি ঘোষণা করেন নতুন কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল সম্রাট। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো. আমিনুর রহমান, জালাল আহমেদ, আব্দুর রহিম, মো. আমিনুল হক রুবেল, রিয়াদ হোসেন, মো. সেলিম, শাকিল আদনান, নাদিম খান নিলয়, পৃথু হামিদ, একেএম রাজন হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম, সাজাদুর রহমান রাফি, আফরান নাহিদ নিশো ও জাহেদুল ইসলাম নোমান। যুগ্মসচিব হয়েছেন সৈয়দ সামিউল ইসলাম। সদস্যরা হলেন- মিজানুর রহমান মুশফিক, মো. সিয়াম ও মো. জুনায়েদ। উপদেষ্টা- মোহাম্মদ উল্লাহ মধু ও মুজাম্মেল মিয়াজি।
কমিটির বিষয়ে ইসমাইল হোসেন সম্রাট বলেন, “ছোট পরিসরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলো। শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।” এ কমিটিতে বেশিরভাগ সদস্য দেশের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট এবং কলেজের শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে সোহেল বলেন, আমাদের কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন। অনেকে আসতে চেয়েছিলেন। তারা পরে আসবেন।
এদিকে, এপিএম সোহেলসহ সংবাদ সম্মেলন করা অধিকাংশ ব্যক্তিই ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউনা বলে মন্তব্য করেছেন নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ঐখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ নাই। এপিএম সোহেল আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিল এক সময়। তাকে মে মাসে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ঐখানে যারা আছে তারা, মিয়াজি ৩৫ আন্দোলনের নেতা, জালাল ছাত্রদলের নেতা, ইসমাইল সম্রাট ঐক্যবন্ধ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক। এখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ নাই। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার জন্য, আমরা যেহেতু বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, মানুষকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি সরকার আমাদের এই রাজনৈতিক অব্স্থানটাকে নষ্ট করার জন্য, আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, টাকা পয়সা খরচ করে তাদের কিছু অনুসারী দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। এখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ নাই।
ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক রাশেদ খান বলেন, আমাদের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে কোনও ভাঙন হয়নি। যাদের হাত ধরে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারা সবাই এক রয়েছে। যার নেতৃত্বে ছাত্র অধিকার পরিষদের মূল নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আগের নামে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ঘোষণা হয়েছে, তাকে আগেই ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আমরা ভাবছি না। সে তো আমাদের সংগঠনে নেই। তিনি বলেন, সেখানে যারা ছিলেন, তারা ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউই না। সুতরাং তারা নানা ধরণের গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মূল চার নেতার মধ্যে যদি একজনও আলাদা অংশে থাকতেন, তাহলে সেটিকে ভাঙন বলা যেতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন