রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রভোস্টের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের বিচার চেয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:৪৭ পিএম

শিক্ষার্থীকে বিনা অপরাধে পুলিশে দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সমাবেশ থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেনের পদত্যাগ দাবি জানানো হয়। ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ঢাবির জিয়া হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন প্রভোস্ট। এরপর থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেরার পথে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতা মারধর করা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।

মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পাদক আবদুল কাদের। তাদের মধ্যে সিফাত ও আহনাফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমাবেশে ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, অন্যায়ভাবে কোনো তদন্ত না করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মারুফকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। একইসঙ্গে সিফাত ও আহনাফকে যারা মেরেছে তাদেরকে শনাক্ত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের হাতে জিম্মি। তারা কোনোভাবেই শিক্ষার্থী বান্ধব নয়। ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদেরকে শিক্ষার্থীদের বয়কটের সময় হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে না বরং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেওয়ার ঘটনায় প্রভোস্টকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে এবং এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়, অত্যাচার, গেস্টরুম, ট্যাগিং কালচারের বিরুদ্ধে অবস্থান করে আসছে। সামনের দিনগুলোতেও ছাত্র অধিকার পরিষদ এ ধারা অব্যাহত রাখবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন