বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্কুলের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ কারাগারে ২

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:১৮ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল আব্দুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকা আত্বসাত, প্রধান শিক্ষকের সাথে প্রতারণা, শারিরিক ভাবে নির্যাতন ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাক্কীসহ ২ জনকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। শনিবার ভোররাতে সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল ও করকোটিয়া নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে ধৃত আব্দুর বাক্কী ও করকোটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে ধৃত আয়নল হক শিবু ঘোড়াশাল আব্দুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহি সদস্য এবং অভিভাবক প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রকার দুর্ণীতি ও অনিয়ম করে আসছে। স্কুল মার্কেটের দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলে তারা নিজেরাই আত্মসাত করেন। দোকান ভাড়া ২৫০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে স্কুলটিকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিসাধন করেন। স্কুলের পুরাতন ভবন ২ লাখ টাকা নিলামে বিক্রি করা হলেও তারা দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকী ৫০ হাজার টাকা চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সাথে মারমূখি আচরণসহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শণ করেন। ১৭ অক্টোবর শনিবার ছিল বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সভাপতির ভাতিজা শওকত আলী ভ্ইুয়াকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত ১৪ অক্টোরর বুধবার সকাল ১১টায় ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা লোকসহ তারা বিদ্যালয়ে আসে। এসেই হুমকি-ধমকি দেয় যে, ১৭ অক্টোবর শনিবার শওকত আলী ভ্ইুয়ার নিয়োগ না হলে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসাতো দূরের কথা বিদ্যালয়ে আসতেই দিবে না বলে চেচামেচি করতে থাকে। এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে তারা প্রধান শিক্ষকের সার্টের কলারে ধরে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে। তখন অশালীন ভাষায় গালমন্দসহ প্রধান শিক্ষককে জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি-ধমকি দেয়। তাদের আচরণে প্রধান শিক্ষক চরম নিরাপত্তাহীন ভূগছেন। বিষয়টি কমিটির অপর লোকজনকে জানালে তারা মামলা করার পরামর্শ দেয়। সে মতে শুক্রবার রাতে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ধৃত ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি মিজানুর রহমান ভুইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানীত হওয়ায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন