মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঘিয়া বাজারের মের্সাস আল মদিনা কোল্ড স্টোরে গত ৫দিনে এক বস্তা আলুও বিক্রি হয়নি। ফলে ওই কোল্ড স্টোরের শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে। সরকার আলুর দাম নির্ধারন করে ঘোসনা দেওয়ার পর হতেই হিমাগারের আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য তারা গত ৮-১০ দিন আগে ৪০-৪২ টাকা কেজি হিসাবে আলু ক্রয় করে রেখেছেন। এখোন সরকার ২৩ টাকা কেজি হিসাবে আলু বিক্রি করতে বলছে ওই টাকা দামে বিক্রি করলে আমাদের প্রতি কেজিতে ১৮-২০ টাকা লোকসান হবে।
এর আগে আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
সরেজমিনে বাঘিয়া বাজার মের্সাস আল মদিনা কোল্ড ষ্টোরে ১৭ অক্টোবর শনিবার গিয়ে দেখা যায়, কোল্ড ষ্টোরের সেট পুরো খালি পরে রয়েছে। ওই ষ্টোরের অর্ধশত শ্রমিক কেউ গল্প করছে কেউবা তাস খেলে অনেকে লুডু খেলে সময় পার করছেন।
ওই হিমাগারের শ্রমিক সাইফুল, নুরনবী, হালিম, সানোয়ার জানান, আমরা ৮ বছর যাবৎ এই ষ্টোরে কাজ করছি। এখোন ভরা মৌসুমে আলু বিক্রি বন্ধ। কোন ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু বিক্রি করতে আসছেনা। আমরা ৪ দিন যাবৎ অলস বসে আছি। নিজের আগের আয়ের টাকা বসে বসে খাচ্ছি। এর আগে আর কখনো এ অবস্থা দেখিনি।
তারা আরো জানান, প্রতিদিন আলুর কাজ করে ৫ হতে ৬ শত টাকা আয় হতো তাদের। তা দিয়েই পরিবার চলতো তাদের। কিন্তু এখোন কাজ না থাকায় হতাশ তারা।
ওই হিমাগারের ম্যানেজ্যার নজরুল ইসলাম জানান, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর হতেই হিমাগাওে কেউ আলু বিক্রি করতে আসছেনা। ব্যবসায়ীরা আগে বেশি দামে আলু কিনে রাখায় এখোন তারা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে বিধায় কেউ বিক্রি করছেনা। সে আরো জানায়, হিমাগারটিতে ৪ লক্ষ বস্তা ধারন ক্ষমত্বা থাকলেও এ বছর আলু উৎপাদন কম হওয়ায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার বস্তা হিমাগারে মজুদ করা
হয়েছিলো। বর্তমানে ১ লক্ষ বস্তা আলু হিমাগারে রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার বস্তা বীজ আলু। বাকি ৩০ হাজার বস্তা বিক্রি করার মতো আলু রয়েছে।
এদিকে মুন্সিগঞ্জে সরকার নির্ধারিত দামে কোথায়ও আলু বিক্রি হচ্চেনা। খুচরা বাজারে এখনো ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন