পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ১৯ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮ জন এবং আউটডোরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৪ জন। বর্তমানের অন্যান্য পদগুলো খালি রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ অবস্থায় চলছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। দীর্ঘদিন থেকে এসব পদ খালি থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর থেকে এসব পদের বিপরীতে কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি। বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটডোরের ৪ জন ডাক্তারসহ মোট ৮জন ডাক্তার কর্মরত আছে। এদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিবেসে দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নাজমা আক্তার ও আবাসিক মেডিকেল আফিসার ডাক্তার মনজুর রশিদ। এছাড়াও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে দুইজন। এ কারণে ৪ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে আউটডোরের স্বাস্থ্য সেবা।
বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন ডাক্তারের পদ খালি রয়েছে। তাদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেটিষ্ট), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিও), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), ইন্টারনাল মেডিকেল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেজিকেল অফিসার, এনেসথেটিষ্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট (যৌন ও চর্ম)। এছাড়াও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে ৪ জন ডাক্তারের পদ খালি রয়েছে। এদের মধ্যে সহকারী সর্জন, ডেন্টাল সার্জন, অল্টারনেটিভ মেডিকেল অফিসার ও মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক)।
সব মিলিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩০ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ১৫ জন কর্মরত আছেন। এসব পদগুলি খালি থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের পড়তে হচ্ছে জুনিয়র কনসালটেন মেডিসিন ও জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু ডাক্তারের অভাবে। প্রতিদিন শত শত রোগী এসব ডাক্তারের খোঁজ করে না পেয়ে বাধ্য হয়ে আউটডোরে ডিউটিরত ডাক্তারের কাছে ভিড় করছেন। ফলে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে এলাকাবাসী বঞ্চিত হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে জেলা শহরসহ অন্যত্র যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাজমা আক্তার বলেন, আমি একাধিক বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনিয়েছি। করোনাকালীন সময়ে সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় আমাদের এখানে ডাক্তার আসছেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন