দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক পত্রে তিনি বলেন গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
লাইটারেজ জাহাজ চলাচল না করায় সারাদেশে এসব কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বন্দরে জাহাজজট এবং কন্টেইনারজট নতুনভাবে সংকট তৈরি করছে।
জাহাজের টার্ণ এরাউন্ড টাইম বৃদ্ধি এবং ওভারস্টের কারণে ডেমারেজ চার্জসহ পণ্য আমদানি-রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং সাধারণ ভোক্তাদের অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে হবে।
বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের এই সময়ে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ আরো চাপের মুখে পতিত হবে। অর্থনীতির গতিধারা পুনরুদ্ধারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীরা নতুন করে অস্তিত্বের সংকটে পড়ার আশংকা দেখা দেবে বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরণের ধর্মঘট অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশী ক্ষতিকারক। এতে করে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে এবং সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাবে।
ফলে বাজার অস্থিতিশীল হবে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যাবে যা সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক উভয় পরিসরে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
করোনা মহামারীর আগ্রাসন থেকে ধীরে ধীরে অর্থনীতির চাকা পুনরুদ্ধারে চলমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নির্বিঘœ রাখা, বন্দরে জাহাজজট ও কন্টেইনারজট নিয়ন্ত্রণ রাখা, শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে পরিবহন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন