ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক গর্ভবর্তী নারী ও তার স্বামীকে পরিচ্ছন্নতা কর্মি (ঝাড়ুদার) কর্তৃক লাঞ্চিত হয়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দোশিয়া গ্রামের নাট্যকর্মি জালাল উদ্দীন জিল্লুর রহমানের গর্ভবর্তী স্ত্রী অন্ত:সত্তা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মহিলা ইউনিটে ৩নং বেডে ভর্তি হয়। গত ৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী (ঝাড়ুদার) আবির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী এবং রোগীর অভিভাবককে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মি আবির ঝাড়ু দিচ্ছিল এ সময় জিল্লুরের স্ত্রী ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিল । এ সময় আবিরকে ঝাড়ু দেওয়া একটু বন্ধ করতে বললে, আবির রোগীর কোন কথা না শুনেই ঝাড়ু দেওয়া অব্যাহত রাখে। আবির বেপরোয়াভাবে ঝাড়ু দিতে থাকে ফলে গর্ভবর্তী নারীর পায়ে লেগে তিনি হোচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার সময় জিল্লুর তার স্ত্রীকে ধরে ফেলে। গর্ভবতী রোগী দূর্ঘটার হাত থেকে রক্ষা পায়। জিল্লুর পরে আবিরের কাছে জানতে চায় তোমার এধরণের আচরণ কেন? এমন কথা শুনে আবির উত্তেজিত হয়ে তার উপর মারমূখী হয়। একপর্যায় উভয়ের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ হলে জিল্লুরকে বেধর মারপিট করে আবির।
এনিয়ে জিল্লুর বাদী হয়ে আবিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দায়ের করেছে। কর্তৃপক্ষ বিচার বা আপোষ মীমাংসা না করে পাল্টা বাদীর বিরুদ্ধে আবিরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। এমন অভিযোগ জানালেন নাট্যকার জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, একজন ঝাড়ুদারের কাছে লাঞ্চিত সহ মারপিট খেয়ে বিচার পেলোনা কর্তৃপক্ষের কাছে। এমন অভিযোগ এনে জিল্লুর তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে প্রেসক্লাবে।
এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প:প: কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, আবির একজন হাসপাতালের ঝাড়ুদার। রুগীর সাথে তার এধরণে আচরণ তিনি আশা করেননি। তিনি বলেন, ঘটনাটি আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ডাক্তার সামাদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে প্রেরণ করা হবে। আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম জানান, ১৭ অথবা ১৮ অক্টোবর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ১০দিনের মধ্যে জেলায় প্রেরণ করা হবে। ঝাড়ুদার আবির বলেন, তিনি তাদের মারধর করেননি। তবে প্রত্যক্ষ রোগীরা বলেন, রোগীর সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে এবং মারধরও করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন