শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা খুলনা বিএনপির

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নানা উত্থান পতন ঘাত প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত খুলনা বিএনপি আবারও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। মেয়াদ উত্তীর্ন মহানগর কমিটিকে ভেঙে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে চাইছে দলের হাইকমান্ড। ফলে খুব শিগগিরি ঘোষিত হতে পারে খুলনা মহানগর আহবায়ক কমিটি। এ কমিটি ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠন করে একটি নতুন বলিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিবে। 

সূত্রমতে, এক সময়ের দাপুটে রাজনীতিবিদ বিএনপিদলীয় সাবেক স্পিকার অ্যাড. শেখ রাজ্জাক আলী, ষাটের দশকের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেন আর নেই। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য সেকেন্দার আলী ডালিম ও মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এম নুরুল ইসলাম রাজনীতির শেষ সময়ে বয়সের কাছে হার মেনেছেন। তাদের শূন্যতায় নড়বড়ে হয়ে গেছে খুলনা বিএনপি’র শক্ত প্রতিনিধিত্ব। তবে সেই শূন্যতা ধীরে ধীরে পূরণ করছেন বর্তমান মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি এবং তরুণ নেতৃত্ব। ফলে পালা বদল ঘটছে খুলনার সার্বিক রাজনীতিতে।
এদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ মহানগর কমিটি ভেঙে নতুন করে কমিটি গঠনে এর আগেও কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ মহানগরে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শীর্ষ পদে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কমিটি ভেঙে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সভাপতি এবং মনিরুজ্জামান মনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রায় এক যুগে কাউন্সিল হয়নি নগর বিএনপি’র। এর মধ্যে তৃণমূল পর্যায় থেকে দল পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও নানাকারণে ভেস্তে গেছে বার বার। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট তৃণমূল পর্যায় থেকে দল পুনর্গঠনে জেলা ও মহানগর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। চিঠিতে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ২/৩টি ব্যতীত ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন করেছিল নগর বিএনপি। সদর থানায় কর্মী সভার পর খালিশপুরের সম্মেলন করতে গেলে বাধে বিপত্তি। এঘটনায় দু’গ্রুপ প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় ১৪৪ ধারাও জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর কেন্দ্রীয় নির্দেশেই স্থগিত হয়ে যায় ঘরগোছানো কর্মসূচি।
সেই নগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কতিপয় নেতার মধ্যকার মতনৈক্য প্রকট আকার ধারণ করে। তার আগেই-দল থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ এস এম আরিফুর রহমান মিঠুসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। চলতি বছরে ত্যাগ করে আ.লীগে যোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, শেখ মো. গাউসুল আজম, আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, সুলতান মাহমুদ পিন্টু ও শামসউদ্দিন আহমেদ পিন্টু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন